অভি হাসান দেওয়ান, স্টাফ রিপোর্টার:
পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন বড় ভাই আয়নাল হকের (৭০) পরিবারের কাছে মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছোট ভাই আব্দুল খালেক (৫৭) এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫২)। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে পাল্টা অভিযোগ করেন বড় ভাই।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কলাসী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক (৫৭) ঐ এলাকার মৃত সিরাজউদ্দিনের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ভাইয়ে-ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বিরোধ নিয়ে এর আগেও ঘটেছে অশালীন বাক্য বিনিময় ও মারধরের ঘটনা। বিরোধের অংশ হিসেবে ঘটনার দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আব্দুল খালেকের বাড়ির উপর এসে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দিতে থাকে বড় ভাইয়ের পরিবার। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম প্রতিবাদ করলে বড় ভাইয়ের ছেলে মামুন মিয়া (৩৮) এবং আয়নাল হক গং মারধর শুরু করে। এ সময় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলা ফোলা যখম হয়। গুরুতর আহত হয় মনোয়ারা বেগম। ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী ছোট ভাই আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমায় দূর্বল মানুষ পেয়ে আমার সাথে যা ইচ্ছা তাই করলো। ভাই-ভাইস্তা মিলে আমি ও আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করছে। ভাইয়ের সাথে আমার পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল অনেক দিন হয়। এই বিষয় নিয়ে সে তো বাড়ির উপর এসে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে পারে না। এর আগেও তারা অনেকবার মারতে এসেছে। আমি এ ঘটনায় আইনগত সহায়তা চাই।’
ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি নারী মানুষ, ওই বাড়ির বউ। আমাকে চুলের মুঠি ধরে সারা বাড়ি ঘুরিয়েছে। তারা দলবল নিয়ে আমি আর আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে এসেছিল। আজ কতটা বছর হয় ওই পরিবার আমাদের ভয়ের উপর রাখছে। তাদের বিচার কি কেউ করতে পারবে না। তারা আমাদের মেরে আবার তারাও থানায় অভিযোগ দিছে। এখন সুস্থ হয়ে যে বাড়ি যামু তাও ভয়। তারা আমাদের বাঁচতে দিবে না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষের পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’