সিংগাইর( মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কোরবানির জন্য ১ লাখ দশ হাজার ২২৪ টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৭৬ হাজার দু’শ চব্বিশ ও ছাগল রয়েছে ২৪ হাজার। উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ১২ হাজার ৩শ। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গবাদি পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায় বিক্রির জন্য। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর যত্ন ও লালন পালনের শেষ সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা।
সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ৩৭ টি গরুর খামার ছাড়াও বসতবাড়িতে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণ হচ্ছে । এ বছর কোরবানির জন্য এলাকার চাহিদা পূরণ করেও প্রায় এক লাখ গবাদি পশু গাবতলী পশুর হাটসহ এলাকার বাইরে যাওয়া শুরু করেছে । এসব গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণে খামারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
খামারিরা জানান, নিজ বাড়ি ও খামারে সাড়া বছর গরু,ছাগল- ভেড়াকে প্রাকৃতিকভাবে জমিতে চাষ করা ঘাস ও দানাদার খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে ।এ কোরবানীর ঈদেই তারা এসব গবাদি পশু বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করবেন ।
উপজেলার বড় বাকা গ্রামের খামারি আশিকুল ইসলাম বলেন, গত ৮ মাস আগে তিনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ষাঁড় গরু কিনেছিলেন। ঈদকে সামনে রেখে তিনি গরু দুটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। গো- খাদ্যের দাম কম হলে ভাল লাভবান হতে পারতাম। তালেবপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ফার্ম সাইড এগ্রোর মালিক পক্ষের ফাহিম উদ্দিন বলেন,আমাদের ফার্মে ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত দামের ৬৫ টি গরু ছিল।সবগুলো গরুই বিক্রি হয়ে গেছে । ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে লোকজন এসে গরুগুলো নিয়ে যাবেন। বাস্তা গোলাইডাংগার মামুন বলেন ৭টি গরুর থেকেএকটি গরু বিক্রি হয়েছে বাকিগুলো হাটে নিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের যথেষ্ট তদারকি রয়েছে। আশা করছি এবার পশুর দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এ এলাকায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে কোনো স্টেরয়েড ব্যবহার হয় না। প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, শুকনো খর ও দানাদার খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তিনি আরো বলেন, উপজেলায় সিংগাইর,সিরাজপুর,জয়মন্টপ ,বায়রা ৫ টি পশু হাটে পাঁচটি মেডিক্যাল টিম ছাড়াও একটি স্ট্রাইকিং টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চামড়া সংরক্ষণের জন্য ও বিভিন্ন মাদ্রাসায় সচেতনতা প্রোগ্রাম করা হয়েছে।