খ্যাতিমান আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২১ অক্টোবর থেকে তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার অ্যাট ল’ সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় ৬০ বছর এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ওই সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেন।
১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। কিন্তু কোনো সম্মানী নেননি। তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়।