স্টাফ রিপোর্টার :
“মুজিব বর্ষের আহবান’ যুব কর্মসংস্থান” এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভা , যুবঋনের চেক ও সনদপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হল রুমে এই দিবস পালিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ-১আসনের সংসদ সদস্য ও ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো.আবুল হোসেন, ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার, ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ লতিফ, ইউনাইটেড যুব সংঘ এর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, যুব শিক্ষার আলো পাঠশালা সানি রহমান মিন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন অফিসার মো: সফি উদ্দিন।
আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ২৩ জনের মাঝে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকার যুবঋনের চেক ও প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা। এরআগে মাছের পোনা অবমুক্ত ও বৃক্ষরোপন করেন প্রধান অতিথি।
এই জেলা যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের নামকরণ সাবেক সংসদ সদস্যে এ এম সাইদুর রহমানের নামে করার দাবী জানিয়েছে বিভিন্ন বক্তা।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, এই যুব কমপ্লেক্স হওয়ার পিছনে বিশেষ অবদান রেখেছেন সংসদ সদস্য দুর্জয়। যুবকদের নিয়ে চিন্তা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। আগামীতে যে কোন অনুষ্ঠানে যুব নারীদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন,শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় যুবকের উন্নয়নে বেশি বেশি কাজ করা হচ্ছে।যুবকরাই দেশের শক্তি ও সম্পদ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যুবকদের দক্ষ প্রশিক্ষন দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষে কাজ করা হচ্ছে। যুবকরা যাতে বেকার না থাকে এর জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ও সরকারিভাবে ঋন দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে কাজে লাগাতে হবে। অনেক যুবক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ফুলের বাগান, গরুর খামারসহ বিভিন্নভাবে সাবলম্বী হচ্ছে।