বিশেষ প্রতিনিধি :
সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশে পায়ে চলার রাস্তা ও বিভিন্ন বাঁক সোজা ও প্রশস্তকরণের দাবীতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ ৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এই সভার আয়োজন করে যৌথভাবে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদ এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান-বারসিক।
বারসিকের সমন্বয়কারী বিমল রায়ের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোড মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ রফিকুল ইসলাম নখেল ও প্যানেল চেয়ারম্যান-২ জাকির হোসেন, সেভ দ্য রোড মানিকগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: আকরাম হোসেন, ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নুরজাহান বেগম, বেতিলা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর গোলাম কিবরিয়া, বেতিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জোৎস্না রানী রায়, কমরেড সেতোয়ার হোসেন খান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক, প্রভাষক আমিনুল ইসলাম কহিনুর, প্রভাষক ফিরোজ আহমেদ, স্কুল শিক্ষক মোবারক হোসেন প্রমুখ।
প্রভাষক আমিনুল ইসলাম কহিনুর বলেন, এই মহাসড়কের দুইপাশে পথচারীদের হাটার রাস্তা না থাকায় এবং বিভিন্ন স্থানে ঝুকিপূর্ণ বাঁক থাকায় প্রতিনয়িত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত কয়েকদিনে মারা গেছেন ১৫ জন এবং আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অনেকে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু স্থানে স্পীড ব্রেকার ও মহাসড়কের দুইপাশে পথচারীদের হাটার জন্য রাস্তা তৈরীর দাবী জানান।
ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকমাস ধরে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক চালু হয়েছে। প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ নিহত ও আহত হচ্ছে। কিছুদিনের ব্যবধানে আমার মাসহ আমার পরিবারের তিনজন গাড়ীচাপায় মারা গেছেন। দুর্ঘনাটনা প্রতিরোধে সড়কের দুই পাশে পায়ে চলার রাস্তা ও বিভিন্ন বাঁক সোজা ও প্রশস্ত করতে হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করতে হবে।’
বেতিলা-মিতরা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, এই সড়কে অনেকে নিহত হযেছেন এবং অনেকেই আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তবে স্পীড ব্রকার দিয়ে এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না। সড়কের বাঁকগুলো সোজা ও কিছু স্থানে প্রশস্ত করার পাশাপাশি মহাসড়কের দুইপাশে পায়ের চলার রাস্তা করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সড়ক ও জনপথসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
সেভ দ্য রোড মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেপড়োয়া গতিতে গাড়ী চলা এবং সড়কের ত্রুটি। এছাড়া পথচারীদের অসচেনতাও দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ। সড়কে চলাচলরত গাড়ীর চালক ও পথচারীদের সচেতন হয়ে গাড়ী চালাতে হবে।হাইওয়ে পুলিশ এবং বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করার পাশাপশি আইন প্রয়োগ করতে হবে যাতে মহাসড়কে কোন ফিটনেসবিহীন গাড়ী না চলে এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক গাড়ী চালাতে না পারে। পাশাপশি, মহাসড়কের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।
সড়ক দুর্ঘটনারোধে উত্থাপিত দাবীগুলি অবিলম্বে পূরণ না হলে মহাসড়ক এলাকার সকল ইউনিয়ন পরিষদের সর্বোস্তরের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকীও দেন তারা।