1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

কাল্পনিক ও ভুয়া অভিযোগে আটকে গেছে ডিলারের বরাদ্দ ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানিকগঞ্জবাসী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪৪৬ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি :
টেলিফোনে কাল্পনিক ও ভুয়া অভিযোগের দোহাই দিয়ে মানিকগঞ্জের একজন টিসিবি’র ডিলারের বরাদ্দ আটকে দিয়েছে টিসিবি ঢাকা আঞ্চলিক কর্াালয়। একারণে মানিকগঞ্জের নিম্নমধ্যবিত্ত ভোগি ও অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ ক্রেতারা তাদের ন্যায্য মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে বিস্তারিত জানিয়ে এবং সকল বৈধ দলিল দেখিয়েও সবিচার পাচ্ছেন না ওই ডিলার।

টিসিবি আঞ্চলিক কর্াালয়ের এক কর্মকর্তার এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে ডিলারশীপ বাতিল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ওই ডিলার দীনেশ চন্দ্র বসাক।

তিনি বলেন, দেশে চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ও বণ্যা পরবর্তীতে টিসিবি ডিলারদের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পন্যাদি বিক্রয় কার‌্যক্রম ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে। অন্যান্য ডিলারদের ন্যায় শতভাগ নিয়ম মেনেই আমি ভ্রাম্যমান ট্রাকে করে প্যাদি বিক্রয় শুরু করি। ২১ সেপ্টেম্বর আমাকে টিসিবি থেকে ৬০০ কেজি চিনি, ৫০০ কেজি মশুর ডাল, ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০০ কেজি পেঁয়াজ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ওইদিন আমি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কর্াালয়ের সামনে এবং মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পৌর সুপার মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমান ট্রাকে করে টিসিবি কর্তৃক নির্দেশণা অনুযায়ী জনপ্রতি দুই কেজি চিনি, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মশুর ডাল এবং এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রয় করি।

নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, প্রতি কেজি মশুর ডাল ৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে টিসিবির সুস্পষ্ট নীতিমালা এবং নিয়ামানুযায়ী যথাস্থানে বিক্রয় করি। এ সংক্রান্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে প্রত্যয়ন পত্রও প্রদান করা হয়েছে।

অথচ, টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-উর্ধ্বতন কার‌্যনির্বাহী (অফিস প্রধান) মো: মিশকাতুল আলম ২৪ সেপ্টেম্বর আমাকে একটি কারণ দর্শাণো পত্র দেন। সেখানে, প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা দরে সাটুরিয়ায় বিক্রয়ের অভিযোগ আনা হয় আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। টেলিফোনে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কারণ দর্শানো পত্র পাওয়ার পর আমি ২৮ সেপ্টেম্বর সবিস্তারে প্রমানপত্রসহ লিখিত জবাব দেই। কিন্তু গত অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখ থেকে আমাকে পণ্যাদি সরবরাহ করছেন না। এতে মানিকগঞ্জের ক্রেতা সাধারণ বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমি নিজের নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং হয়রাণীর শিকার হচ্ছি।

আমি টিসিবির সুস্পষ্ট নীতিমালা এবং নিয়মের বাইরে কোন কাজ করি নাই এবং ভবিষ্যতেও করিব না। বিধায় আমি আমার ডিলারশীপ নিয়মানুযায়ী চালিয়ে যাওয়ার হকদার হচ্ছি। এব্যাপারে আমার পত্র গ্রহণকরত: সুবিচার পেতে টিসিবি কর্তৃপক্ষ এবং মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury