রাঙামাটি সংবাদদাতা : অবিরাম প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে রাঙ্গামাটির নানিযারচর উপজেলার ঘিলাছড়ির ধর্মচান পাড়ায় ৪ জন ও নানিয়ারচর সদরের বড়পুল পাড়ায় ৪ জন, নিখোজ ৩ জনের মধ্যে আরো ২ জনের লাশসহ মোট ১০ জন মারা গেছে। এছাড়া বুডিঘাট ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনায় আরো ১ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ এ কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ভোর রাতে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় এ প্রাণ হানি ঘটে। গ্রাম গুলো পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওযায় স্থানীয় গ্রাম বাসী নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এক বছর আগে যে দিনে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল, সেই দিনটিতে একই ঘটনা ঘটল। টানা ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের তিনটি গ্রামে পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ধর্মচান ও বড়পুল ৮ জন মারা গেছে এবং হাতিমারা মারা এলাকায় ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। জানা যায়, কয়েক দিনে টানা ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ধর্মচান পাড়ায় ও বড়পুল পাড়ায় পাহাড় ধসে মঙ্গলবার সকালের দিকে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে ৮ জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এ হাতিমারা গ্রামে ৩ জন নিখোজ রয়েছেন। নিহতরা হলেন বড়পুল পাড়া এলাকায় একই পরিবারের সুরেন্দ্র লাল চাকমা (৪৮), স্ত্রী রাজ্য দেবী চাকমা (৪৫) ও মেয়ে সোনালী চাকমা (০৯), রুমেল চাকমা (১২), ধর্মচান পাড়ায় ফুল দেবী চাকমা, ইতি চাকমা, দুই বছরের শিশু, আরো একজন অজ্ঞাত। এছাড়া হাতিমারা এলাকায় রীতা চাকমা ও রিটেন চাকমা ও অপর একজন নিখোজ রয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিখোজদের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। দমকল বাহিনী ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে। নানিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল লতিফ এ কথা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ত্রিদিব কান্তি দাশ পাহাড় ধসে দুটি গ্রামে ৮ জনের মৃত্যুও কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধারের জন্য রওনা দিয়েছে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ বলেন, তারা আটজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তিনি বলেন, “পাহাড় ধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক না থাকায় ইউএনও ওই এলাকাগুলোতে এখনও পৌঁছাতে পারেনি। ফলে নিহত বা নিখোঁজের সঠিক তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগছে।” গত বছরের ভয়াবহ ধসে ১২০ জন মারা গেলেও নানিয়ারচরে কেউ মারা যায়নি। ওই ধসের পর জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ বসববাসকারীদের যে তালিকা করেছেন, তাতে নানিয়ারচর উপজেলার চার ইউনিয়নে ২৩৯ পরিবারের এক হাজার ১১১ জনকে রাখা হয়। |