স্টাফ রিপোর্টার:
নির্বাচন এবং স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সারাদেশে আলোচনায় আসা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা হঠাৎ ঢাকায় এসে তার সঙ্গে দেখা করেছেন।
পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকায় আসা বলে জানিয়েছেন কাদের মির্জা।
বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি। এরপর ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। বেশ কিছুক্ষণ একান্তেও কথা বলেন তারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর মিডিয়ার সামনে কথা বলে সম্প্রতি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, আসলে আমাদের হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা যেসকল কর্মসূচি নিয়েছিলাম, সেইগুলো স্থগিত করেছি। আমাদের তো ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য।
শেখ হাসিনার কাছে নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগ আছে। তিনি যাছাই-বাছাই করে সহসাই পদক্ষেপ নেবেন। আমরা এক মাস পরে আবার বিষয়টা আপনাদের জানাবো।
কাদের মির্জা আরো বলেন, হাইকমান্ডের নির্দেশে এটা (বিভিন্ন কর্মসূচি) প্রত্যাহার করে নিয়েছি। নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ না হয়, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে যে অপরাজনীতি চলছে এটা যদি বন্ধ না হয়, অস্ত্রবাজি না হয় তাহলে এক মাস পর আমরা আবার আবার কর্মসূচি দেবো।
নির্বাচনের আগে বক্তব্যে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের কিছু বলেছেন কী-না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, না, কি জন্য বলবে। আমি গঠনতন্ত্র অনুসারে কথা বলেছি। ঘোষণাপত্রে আসে যে, বাকস্বাধীনতা আমার আছে। আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমি এই জন্য কথাগুলো বলেছি। আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। অন্যায়, অবিচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করবো।
আমি চাই, পরবর্তী নির্বাচনগুলো বাংলাদেশে যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে এখন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার উদারণ আমাদের বসুরহাট পৌরসভা।
আগের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ মনে করেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, এর আগে কিছু কিছু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। সব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা ঠিক না। বাংলাদেশে ভোটের চুরির রাজনীতি এটা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ, না ভোটের মাধ্যমে। ১৯৯১ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তা নিরপেক্ষ হয়েছে, বিএনপি ক্ষমতা আসছে। আর মাগুরার নির্বাচনসহ যত নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে একটা নির্বাচনও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে নিরপেক্ষ হয় নাই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নেত্রীর যে উন্নয়ন এটা বিশ্বের রোল মডেল। ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে ঘর বিতরণ করেছে, এটা বিশ্বের মধ্যে নজিরবিহীন। এটা কী অস্বীকার করতে পারবেন? শেখ হাসিনা আগামী তিন বছর ক্ষমতা থাকলে তাহলে বাংলাদেশে কোনো কাজ আর বাকি থাকবে না। আমরা চাই জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন থেকে পরিকল্পনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।