এক যুগ আগে গড়া বার্সার কীর্তির পুনরাবৃত্তি করলো বায়ার্ন
২০০৯ সালে পেপ গার্দিওলার লিজেন্ডারি বার্সেলোনা যা করে দেখিয়েছিল, তা এবার করে দেখালো বায়ার্ন মিউনিখ। স্প্যানিশ কোচের অধীনে ১২ বছর আগে এক বর্ষপঞ্জিকায় টানা ছয়টি শিরোপা জিতেছিল কাতালানরা। দ্বিতীয় দল হিসেবে হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বায়ার্নও জিতলো ‘সিক্সটুপলস’। বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় টাইগ্রেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় বুন্দেসলিগার সেরা দল। এমন কীর্তি গড়ার পর ফ্লিককে ‘ব্যাটল অব দ্য সিক্সটুপলস’ এর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বর্তমান ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা।
গার্দিওলা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেন ন্যু ক্যাম্পে। প্রথম মৌসুমেই জেতেন ট্রেবল, যেই সাফল্যের শেষ হয় বছরের ষষ্ঠ শিরোপা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে। লা লিগা, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপে জাভি-ইনিয়েস্তা ও মেসিদের সঙ্গে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছিলেন। এক যুগ পর ফ্লিক ও বায়ার্ন তারই ভাগীদার হলো বুন্দেসলিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান কাপ, জার্মান সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে।
নিজের অর্জনে আরেকজন ভাগীদার থাকাটা হয়তো পছন্দ হচ্ছে না গার্দিওলার। তাই মেসি বাহিনীকে নিয়ে আবার মাঠে নামার ইচ্ছা স্প্যানিশ কোচের। ফ্লিককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার আগে অবশ্য বায়ার্নকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ম্যানসিটির কোচ। টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বায়ার্নের সাবেক কোচ বলেন, ‘ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়, বিশেষ করে ছয়টি শিরোপা জয়ের মতো অসাধারণ সাফল্যের কারণে পুরো বায়ার্ন পরিবারকে অনেক অভিনন্দন।’
অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত হলেন না গার্দিওলা, বায়ার্নের অবিশ্বাস্য সাফল্যে গর্বিত তিনি, ‘আমরা অনেক গর্বিত, আমিও খুব গর্ববোধ করছি। প্রত্যেককে অভিনন্দন, বিশেষ করে হ্যান্সিকে (ফ্লিক)। চমৎকার এই অর্জনের জন্য খেলোয়াড় ও ব্যাকরুম স্টাফদের প্রতিও রইলো শুভেচ্ছা।’
স্প্যানিশ কোচ চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দিলেন পরের বক্তব্যে, ‘আমি হ্যান্সিকে বলতে চাই, দ্বিতীয় দল হিসেবে আপনারা টানা ছয়টি শিরোপা জিতলেন। এর আগে আরেকটি দল ছিল, বার্সেলোনা। তাহলে আমি মেসি ও তার বাহিনীকে ডাকি! আমরা কিন্তু তাহলে সপ্তম শিরোপার জন্য খেলতে পারি। লড়াইটা কখন ও কোথায় হবে বলবেন, আমরা সেখানে থাকবো!’
২০১৩ সালে গার্দিওলার অধীনে ‘সিক্সটুপলস’ জিতেই গিয়েছিল বায়ার্ন। ইয়ুপ হেইঙ্কেসের অধীনে ২০১২-১৩ মৌসুমে তারা ট্রেবল জেতার পর বাভারিয়ানদের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জেতেন তিনি। কিন্তু জার্মান সুপার কাপে হেরে যায় তারা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে।
সাবেক ক্লাবকে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার সময় গার্দিওলার মুখে ছিল হাসি। বোঝাই যাচ্ছিল মজা করছিলেন। তারপরও বার্সা ও বায়ার্নের জনপ্রিয় এই কোচের পরিকল্পনাটি ভেবে দেখতে পারে দুই ক্লাব, হতে পারে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। যদিও এক যুগের ব্যবধানে দুই দলের যে অবস্থা, তাতে বায়ার্ন এগিয়ে থাকবে মাঠে। কারণ বার্সার ওই সাফল্যে ভূমিকা রাখা দলের কেবল তিনজন এখনও খেলছেন- মেসি, সার্জিও বুশকেটস ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
/মহিদ