স্টাফ রিপোর্টার:
আসছে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (আরএফইডি)’ নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ, বিদায়ী কমিটির সংবর্ধন ও নতুন সদস্যদের বরণের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ কথা জানান।
নূরুল হুদা বলেন, এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেক দফা পৌরসভা নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। কয়েকটি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করে ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসেও কোনো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ, আমাদের ভোটার তালিকা তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিটি করে প্রার্থীদের দিতে হবে। এসব কাজে এক মাস সময় চলে যাবে।’
আসছে নির্বাচনগুলো অতীতের চেয়েও সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হবো। কিন্তু যাচ্ছে না। আমরা চট্টগ্রাম ও যশোরে কথা বলেছি। ১৪ তারিখ নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার সব ঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত মোট ৬ ধাপের দেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারও দলীয় প্রতীকেই ভোট হবে বলেও জানান সিইসি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ইসি সচিবালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।