স্টাফ রিপোর্টার:
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করছে বিএনপি। সমাবেশ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সরব পুলিশ। তাই প্রেস ক্লাবসহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি।
সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমি পুলিশকে বলবো যেসব মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রেখেছেন, দয়া করে তাদের ছেড়ে দেন। তা না হলে এর ফল ভালো হবে না।
দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম প্রশ্ন তুলে বলেন, আজকে পুলিশের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পুরো রাজধানী বিএনপির দখলে। এভাবেই কি আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন? তিনি আরও বলেন, আর কয়েকদিন পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বলবে- আওয়ামী লীগের দরকার নেই, তারা চোর। তাই বলবো এখনই অবস্থার অবসান করেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহ প্রেসক্লাবে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশ শুরু হওয়ার একটু পর থেকেই নেতাকর্মীদের প্রেসক্লাব এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের আশপাশের এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সাধারণ মানুষের পরিচয়ও জানতে চাওয়ার হচ্ছে। এ সময় সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রেসক্লাব এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
আরও দেখা যায়- মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, শিক্ষা ভবনের সামনে ও সচিবালয় আশেপাশের প্রতিটি মোড়ে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সচিবালয়ের লিংক রোডের মাথায় পুলিশ কাউকেই সমাবেশস্থলে ঢুকতে দিচ্ছে না। সমাবেশ এলাকাগুলোতে যান চলাচল সীমিত আছে।
সেগুন বাগিচার বাসিন্দা মুন্সি ওমর ফারুক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটু শিক্ষা ভবন যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেতে দেয় নাই। তাই এখন গুলিস্তান এলাকায় দিয়ে যেতে হবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগের সমাবেশে সংঘর্ষ হওয়াতে পুলিশ খুব সুসংগঠিতভাবে আছে। আগের চেয়ে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।