স্টাফ রিপোর্টার:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের সফলতাই পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল, চেকপোস্টে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পেট্রাপোল-বেনাপোলে করোনার কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, অধিনায়ক ৪৯ বিজিবি যশোর লে. কর্ণেল সেলিম রেজা, পুলিশ সুপার যশোর প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল প্রমুখ।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির অস্তিত্বের বিষয়। এই ভাষা আন্দোলনের সফলতাই পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধের অনুপ্রেরণা যোগায়। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পাশে ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীসহ ভারতবর্ষের সকলস্তরের জনসাধারণ। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক, নাড়ির সম্পর্ক। এ জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ১৯৫২ সালেই পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার আপামর জনতার তীব্র আন্দোলন তা হতে দেয়নি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশকে স্বাধীন করেছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সোপান। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু পরোক্ষ লক্ষ্য ছিল আরও অনেক কিছু। শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন, গণতন্ত্র, ধর্মান্ধতা ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা, অভিন্ন জাতিসত্ত্বা গঠন ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের বীজ তখন বপন করা হয়েছিল। অশ্রুভেজা সেই আবেগ, বিশ্বাস, চিন্তার নামই একুশের চেতনা।’
ওপার বাংলার পক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্ত্রী, পঃ বঃ সরকার, ভারত।