স্টাফ রিপোর্টার:
দুই দশক পর পুনরায় চালু হলো আরিচা-কাজীরহাট ফেরি সার্ভিস। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরিচা ঘাটে ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে যমুনা সেতুর ওপর চাপ কমবে বলে আশাবাদী কতৃপক্ষ।
উদ্বোধনকালে বেগম রোকেয়া নামের একটি রোরো ফেরি নৌ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিআইডব্লিউটিএ-টিসির চেয়ারম্যাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজীরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া মতিউর রহমান নামের আরেকটি ফেরি ১৫টি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আরিচা ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
ফেরি উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনীয় ইশতেহারে বলেছিলেন, ১০ হাজার নৌ-পথ তৈরি করবেন। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশ নৌ চলাচলের উপোযোগী করে তুলবেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলার সঙ্গে এই পথ যুক্ত ছিল। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর এ নৌ-পথটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যমুনা সেতুর ওপর চাপ কমাতে এ নৌ রুটটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। এখন চারটি ফেরি এ রুটে চলাচল করবে। ভবিষ্যতে চাহিদানুয়ী আরো ফেরি বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানান।
ফেরি উদ্বোধনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটি-এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, টিসির আরিচা কার্যলয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান, শিবালয় ইউএনও বিএম রুহুল আমীন রিমন, ওসি, ফিরোজ কবীর, জাতীয় শ্রমীক লীগের সহসভাপতি মোহসিন ভূঁইয়াসহ জেলা ও উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি নব্যতা সংঙ্কটের কারণে আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় ঘাট স্থানান্তর করা হয়। নতুন এ নৌ-রুট সচল, ঘাট নির্মাণ ও যাবতীয় কাজে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।