ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটের করা ৮৪ ওভারের প্রথম বল। ব্যাটিং প্রান্তে ঋষভ পান্ত। হাঁটু গেড়ে বসে স্কয়ার লেগে উড়িয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির বাইরে। এক লাফে ৯৪ থেকে ১০০! পান্ত স্পর্শ করলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
আহমেদাবাদের দৃষ্টি নন্দন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এভাবেই চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে পান্ত তুলে নেন সেঞ্চুরি। যদিও শতকের পর বেশিদূর এগোতে পারেননি। আর মাত্র ১ রান যোগ করেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
সাদা পোশাকে পান্ত ছড়িয়েছেন আলো। প্রথম ৫০ রান করেছেন ৮২ বলে, ক্রিজে থিতু হয়ে যেনো হয়ে উঠলেন আরও ভয়ংকর। দ্বিতীয় ৫০ রান করেন মাত্র ৩৩ বল। ১১৮ বলে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ১০১ রান করেন তিনি।
ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে ৭ম উইকেটের জুটিতে ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন লিড। পান্ত ফিরে গেলেও সুন্দর ছিলেন ক্রিজে। তিনি অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করে তবে সাজঘরে ফেরেন। ভারত লিড দিয়েছে ৮৯ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৪। সুন্দর ৬০ ও অক্ষর ১১ রান করে ক্রিজে আছেন।
এর আগে ২০৫ রানের জবাবে ১ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ভারত। দিনের শুরুতেই ফেরেন আগের দিন অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান চেতশ্বর পূজারা। এরপর ভারত ধাক্কা খায় বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে। তিনি সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। এবার রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে খেলার হাল ধরার চেষ্টা করেন রোহিত শর্মা। রাহানে ২৭ করে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি।
রাহানে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন পান্ত। ৪১ রানের জুটি গড়ে দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন রোহিত-পান্ত। হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ১৪৪ বলে ৭টি চারে ৪৯ রান আসে রোহিতের ব্যাট থেকে। অশ্বিন এসে দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলে সুন্দরকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়ে নিজে শত রান করে ভারতকে এনে দিন লিড। এরপর সুন্দর-অক্ষরের সুন্দর ব্যাটিংয়ে আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন। ২টি করে উইকেট নেন জ্যাক লিচ ও বেন স্টোকস।