1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
hello world সিংগাইরে সিসিডিবি’র উদ্যোগে কম্বল বিতরণ মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতার নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও আগের চেয়ে শক্তিশালী Τα καλύτερα καζίνο πραγματικών μετρητών στο διαδίκτυο Κορυφαία τον Δεκέμβριο του 2024 মানিকগঞ্জে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ এখন সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম, সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম, একই সাথে দেশ গড়ার সংগ্রাম-ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু হামলা-অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর মামলায় আওয়ামী ১০ নেতা কারাগারে সিংগাইর প্রেসক্লাব নির্বাচনে  ৫ই আগষ্ট কিন্তু ১৫দিনে বা একমাসে আসে নাই-মানিকগঞ্জে আহমেদ আযম খান Τα καλύτερα διαδικτυακά καζίνο Alive Παίξτε πραγματικά με ζωντανούς ανθρώπους

উত্তম কুমারের প্রেমে সংসার বিবাগী সাবিত্রী

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ৪৩৫ বার দেখা হয়েছে

১৯৩৭ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তার বাবা ছিলেন স্টেশনমাস্টার। ১০ বোনের মধ্যে সাবিত্রী ছিলেন সবার ছোট। পরবর্তীতে ঢাকায় বাড়ি করেন তার বাবা। শৈশবের সেসব স্মৃতি এখনো তার মনে অমলিন।

দেশভাগের পর সাবিত্রী কলকাতায় চলে যান। তার মেজ বোন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। তাদের সঙ্গেই ছোট্ট সাবিত্রী পাড়ি জমান ওপার বাংলায়। তখন তার কাছে কলকাতা মানেই অপার বিস্ময়। বোনোর শুশ্বরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন সাবিত্রী। ভর্তি হন একটি স্কুলে। শৈশবেই তার সঙ্গী হয় অভাব। কারণ তার বাবা ঢাকা থেকে অর্থসাহায্য পাঠাতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন জায়গায় নাচের অনুষ্ঠান করতে শুরু করেন তিনি।

এক সময় পরিচয় হয় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এ অভিনেতা নিজে এসে সাবিত্রীর সঙ্গে আলাপ করেন। তখন অবশ্য সাবিত্রীর কাছে ‘ভানু’ নন, বরং সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সাবিত্রীর মুখে ‘বাঙাল টানে’ কথা তার ভালো লেগেছিল। এসময় ‘নতুন ইহুদি’ নাটকের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন ভানু। তিনি সরাসরি সাবিত্রীর বাবার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কারণ ওই সময়ে সাবিত্রীর বাবা কলকাতায় গিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে দেখা যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সাবিত্রীর আত্মীয়। সাবিত্রীর মেজ বোন সম্পর্কে ভানুর মামি হতেন। সময়ের সঙ্গে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ই হয়ে উঠেন সাবিত্রীর অভিনয় জগতের অভিভাবক। ‘নতুন ইহুদি’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুরাই ছিলেন নাটকের বিষয়বস্তু। নাটকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অভিনেতা কানু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমায় ‘হরিহর’ চরিত্রে অভিনয় করেন কানু।

পরবর্তীতে সাবিত্রীর বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও ঢাকা থেকে চলে যান কলকাতায়। টালিগঞ্জের এক রুমের একটি বাড়িতে ওঠেন তারা। সংসারের হাল ধরতে অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের অনুষ্ঠানও করতেন সাবিত্রী। নাচের অনুষ্ঠানে করতে অন্য শহরেও চলে যেতেন তিনি। অভাবের কারণে ভালো শাড়ি কিনতে পারতেন না সাবিত্রী। বেশির ভাগ সময়ই মহড়ায় যাওয়ার জন্য পড়শিদের ধার করা শাড়ি পরে যেতেন তিনি।

১৯৫১ সালে ‘সহযাত্রী’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন সাবিত্রী। এটি পরিচালনা করেন অগ্রদূত। এতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন উত্তম কুমার। এতে পার্শ্বনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন সাবিত্রী। এরপর কিছুদিন বিরতি নেন সাবিত্রী। আবার ‘নতুন ইহুদি’ নাটকে অভিনয় শুরু করেন। এ নাটকের মহড়া দেখার জন্য একদিন হাজির হন উত্তম কুমার। তাকে দেখবেন বলে তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার সময়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান সাবিত্রী। ফলে তার পা কেটে এলাহী কাণ্ড বেধে যায়! কিন্তু সব কষ্ট ভুলে যান ধুতি-পাঞ্জাবি পরা সুদর্শন উত্তম কুমারকে দেখে।

১৯৫২ সালে ‘পাশের বাড়ি’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন সাবিত্রী। এরপর ‘শুভদা’, ‘বসু পরিবার’, ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’, ‘গোধূলি’, ‘রাত ভোর’, ‘পুনর্মিলন’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে টলিউডে নিজের শক্ত জায়গা গড়ে নেন। উত্তম কুমারই তার জীবনের প্রথম প্রেম। বিষয়টি স্বীকার করতে দ্বিধাহীন সাবিত্রী। অভিনয়ের সেরা সময়ে তাদের বিয়ে নিয়েও গুঞ্জন ওঠেছিল। কিন্তু তা গুজবের আড়ালে পড়ে যায়। সবরকম গুঞ্জনের বাইরে উত্তম-সাবিত্রীর বন্ধুত্ব উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

উত্তম-সুচিত্রা, উত্তম-সুপ্রিয়ার মতো উত্তম-সাবিত্রীও ছিল সুপারহিট জুটি। ‘লাখ টাকা’, ‘কল্যাণী’, ‘অনুপমা’, ‘রাইকমল’, ‘নবজন্ম’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, ‘রাজা সাজা’, ‘দুই ভাই’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘মোমের আলো’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘রাতভোর’, ‘উপহার’, ‘মৌচাক’ এবং ‘ধন্যি মেয়ে’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন এই যুগল।

জীবন নিয়ে সাবিত্রী সবসময়ই অকপট। গৌরীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে সংসার ছেড়ে উত্তম কুমারের চলে আসা তার ভালো লাগেনি। সে কথা জানিয়েও ছিলেন মহানায়ককে। সাবিত্রী বলেছিলেন, ‘কাউকে কাঁদিয়ে জীবনে সুখী হওয়া যায় না।’ বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাবিত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘দেখুন আমি কখনো চাইনি সে তার সংসার ছেড়ে চলে আসুক। আমার কপালে যদি এখন বিবাহিত পুরুষই জোটে, তাহলে আমি কী করব? ভালোবাসব না? কিন্তু আমি কারো ঘর ভাঙব না। যার জন্য আমার নিজের ঘর হয়নি। তবে উত্তম কুমারকে পাইনি বলে বিয়ে করিনি, তা নয়। আমার অনেক বন্ধু ছিল যাদের সবাই বিবাহিত, আর আমি কারো ঘর ভাঙতে চাইনি। আমার কত ভালো সম্বন্ধ এসেছে, উত্তম কুমার গিয়ে ভেঙে দিয়েছে। উত্তম আমার প্রতি পজেসিভ ছিল। তবে অনেকে বলেন আমি মিথ্যা বলছি, তাই এটা নিয়ে আমি কোনো দিন কিছু বলিনি।’

শেষ দিকে উত্তম কুমারের জীবনের টানাপোড়েন সাবিত্রীকে কষ্ট দিত। মহানায়কের প্রতি সহমর্মিতা থেকেই গাঢ় হয়েছিল ভালোবাসা। অন্যের ঘরভাঙা সাবিত্রীকে কষ্ট দিলেও নিজে কোনোদিন সংসার বাঁধেননি। বাবা-মা ও তার বোনেরাই ছিলেন তার পরিবার। পুরো জীবনই তাদের জন্য করেছেন। নিজের জন্য আলাদা সংসারের নিভৃত কোণ তৈরি করা হয়ে ওঠেনি এই শিল্পীর।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury