স্টাফ রিপোর্টার:
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে দেশব্যাপী গণসংযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশে নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সংকটগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন আছে, যাতে সরকার বাধ্য হয় এসব থেকে সরে দাঁড়াতে। এ অবস্থা বিরাজ করলে সুশাসন পাওয়ার কোনো উপায় থাকবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যদি মাঠে না নামি, তাহলে এর থেকে উত্তরণ ঘটবে না।
প্রেসক্লাবের সামনেই গণফোরামের আরেক অংশের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দল থেকে বের হয়ে হয়ত আরেকপক্ষ আরেক বক্তব্য রাখতে পারে। আমি মনে করি, আমার দল সঠিকভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে, কাজ করে যাবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের কথা বলে যেভাবে আমাদের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, তা থেকে মুক্তি দিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে গণফোরামের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গণফোরামের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করার প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন থেকে আমরা সারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার স্বপ্ন নিয়ে জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জনগণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি। গত অর্ধশতাব্দিতে আমাদের অনেক অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে, কিন্তু বৈষম্য কমেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘একটি চক্রের মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাট, শেয়ারবাজার ধ্বংস এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে ও জনগণকে বঞ্চিত করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যখন আইন প্রণয়নে ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ অনুপস্থিত থাকে, তখনই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ অসহায় হয়ে পড়ে।