স্টাফ রিপোর্টার:
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপুমনি বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে অনেকেই বলেন সম্ভ্রমহানি হয়েছে। অথচ সম্ভ্রমহানি হওয়ার কথা ধর্ষকের।
সোমবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক সেমিনারের একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপুমনি বলেন, ধর্ষিত নারীদের অস্পৃশ্য করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের ভাষা ব্যবহার করে নারীদের পিছিয়ে রাখা হয়। ধর্ষিতার সম্ভ্রমহানি হয় না। সম্ভ্রমহানি হলে পশুসুলভ ধর্ষকের হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; যা আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর, নারী উন্নয়ন নীতি মালা তৈরি করেন।
এ সময় তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ধর্ষিত হতে যারা সাহায্য করেছে তাদের শাস্তির দাবি করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখে। এজন্য সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
এছাড়া পাঠ্যসূচিতে নারী মুক্তিযুদ্ধাদের কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি নারী মুক্তিযুদ্ধাদের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি নির্মাণের প্রতি নজর দিতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রীতা ভৌমিক।