স্টাফ রিপোর্টার: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ পারাপার। ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কম হলেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ঢাকামুখী কর্মব্যস্ত মানুষদের।যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হলেও একসঙ্গে অনেক যানবাহনের চাপে দুর্ভোগ বাড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। একই অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা যায় দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটেও। তবে স্বাভাবিক অবস্থা দেখা যায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমার নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন জানান, ঈদে কর্মব্যস্ত মানুষের ঢাকায় ফেরার চাপ রয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। তবে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। এতে করে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ২০টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে ছোট ফেরি শাপলা সালুক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেরামত কারখানায় রয়েছে। সর্বশেষ জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি মিলে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।পাটুরিয়া ঘাট নৌ পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মনছুর হোসেন জানান, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের তেমন চাপ নেই। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক মিলে৫০/৬০টি যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ না থাকার কারণে সেগুলো সরাসরি ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আমার নিউজকে জানান, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৫ কিলোমিটার অংশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নেই।