স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মহাখালীতে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, হাসপাতালটিতে থাকবে ১০০ শয্যার আইসিইউ। এরই মধ্যে ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ ও সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আপাতত ৫০ বেডের আইসিইউ, ৫০ বেডের জরুরি সেবা (মেডিসিন) এবং ১৫০টি আইসোলেশন বেডের আইসোলেটেড কক্ষ নিয়ে এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ হাসপাতালটি পরিচালনা করবে।
সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালটির বিভিন্ন ফ্লোরে এখনো আইসোলেশন ফ্যাসিলিটি নির্মাণের কাজ চলছে। তবে করোনা রোগীর ক্রমবর্ধমান চাপে যেসব ফ্লোরগুলো প্রস্তুত, সেগুলোতে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২২ মার্চ করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকারি আরো পাঁচটি হাসপাতালকে পুনরায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, দেশে ক্রমাগত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীর মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।