মৌসুমের শেষের দিকে সবকিছু প্রায় গুছিয়ে এনেছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়েও টিকে আছে।
কিন্তু শঙ্কা তৈরি করেছে ইনজুরি, ক্লান্তি, নিষেধাজ্ঞা ও করোনাভাইরাস। এই চার সমস্যায় রীতিমতো জর্জারিত রিয়াল। ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে রিয়ালের ৯ খেলোয়াড় খেলতে পারছেন না। অন্যদিকে ক্লান্তিও প্রভাব ফেলছে তাদের পারফরম্যান্সে। সে কারণে রোববার দিবাগত রাতে গেটাফের মতো দলের বিপক্ষেও লড়াই করতে হয়েছে ড্র করে ১ পয়েন্ট পেতে। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
এই ড্রয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে আবার ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে আছে ২ পয়েন্টে। ৩১ ম্যাচ থেকে অ্যাটলেটিকোর সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। রিয়ালের ৬৭। আর ৩০ ম্যাচ থেকে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৫।
রাতে গেটাফের মাঠে যারপরনাই লড়াই করতে হয়েছে রিয়ালকে। ভিনিসিউস জুনিয়র, লুকা মদ্রিচদের পা যেন চলতেই চাইছিল না। অধিকাংশ খেলোয়াড়ের পা জোড়া যেন শত বছরের ক্লান্তি নিয়ে চলছিল।
রিয়ালের এই সুযোগটি নেওয়ার খুব চেষ্টা করেছে গেটাফে। তারা একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে রিয়ালের অর্ধে। গেটাফে এদিন পোস্টের দিকে ১৯টা শট নেয়। তার মধ্যে ৬টাই ছিল অন টার্গেটে। অন্যদিকে রিয়াল শট নেয় ১০টি। তার মধ্যে মাত্র ২টি ছিল অন টার্গেটে। গেটাফে কর্নার পেয়েছিল ৭টি। রিয়াল ৬টি। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কেমন খেলেছে রিয়াল। কে বলবে দুদিন আগে এই রিয়ালই লিভারপুলে, বার্সেলোনার মতো দলকে হারিয়েছে।
/মহিদ