রোজায় সারাদিন খালি পেটে থাকার পর ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া হয়। এই খাবারগুলো খুব সহজেই আপনাকে ক্লান্ত বানিয়ে দেয়। এছাড়াও এসব খাবার নানান শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। যা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তাইতো রোজার সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু বাড়তি সর্তকতার প্রয়োজন পড়ে।
এছাড়া এবারের রোজা শুরু হয়েছে গরমের মধ্যে। এজন্য খাওয়া-দাওয়া উপর একটু বেশি খেয়াল রাখার প্রয়োজন। ইফতারে অতিরিক্ত মশলায় ঠাঁসা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে এমন কিছু খাবার রাখুন, যা আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে কর্মক্ষম রাখবে। শুধু তাই নয়, সারাদিনের পানির চাহিদাও পূরণ করবে।
তাই ইফতারের খাদ্যতালিকার জন্য বাছাই করুন ছয়টি স্বাস্থ্যকর খাবার। যা সবসময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত-
শসা
শসায় আছে ৯৫ শতাংশ পানি, ভিটামিন ও মিনারেল। ফলে শসা খেলে শরীর ভেতর থেকে ঠাণ্ডা থাকে। এতে ক্যালরি কম আর ফাইবার বেশি থাকে, ফলে ওজন কমাতে সহায়ক। তাই প্রতিদিন খাবারের শসা রাখতে চেষ্টা করুন। এমনকি শসার জুসও খেতে পারেন।
তরমুজ
গরমকালের অন্যতম একটি ফল হলো তরমুজ। তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড। ফলের রস কিংবা ফ্রুট সালাদ হিসেবে ইফতারের টেবিলে রাখতে পারেন তরমুজ।
কমলা
মৌসুমি ফল হলেও এখন প্রায় সারাবছরই কিন্তু কমলা পাওয়া যায়। কমলায় রয়েছে ৮০ শতাংশ পানি যা এই গরমে আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখবে। এছাড়া এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম ও কপার। ইফতারিতে পান করতে পারেন এক গ্লাস কমলার রস। আর কমলা দিয়ে অনেক ধরনের জুস, স্মুদি, মুজ ইত্যাদি বানিয়ে নিতে পারেন অনায়াসেই।
আপেল
কথিত আছে, প্রতিদিন একটি আপেল খান আর ডাক্তার রাখুন দূরে। আপেল আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে। আপেলে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যাসেনশিয়াল পুষ্টি উপাদান। সবুজ আপেল খাওয়াটা খুবই স্বাস্থ্যকর।
আনারস
আনারসের গুণ সম্পর্কে সবারই জানা। তাই ইফতারে ফ্রুট সালাদ কিংবা স্মুদিতে আনারস ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে ব্রোমেলিন যা এনজাইমের অন্যতম একটি উৎস। এছাড়া আনারসে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফাইবার, ভিটামিন বি১, ম্যাগনেসিয়াম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে।
দই
এছাড়াও এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খেতে পারেন টক দই। টক দই শুধু শরীরকেই ঠাণ্ডা রাখে না, সঙ্গে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে টকদই দারুণ কার্যকরী। আইসক্রিম বা সফট ড্রিঙ্কস-এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় তাই টক দই রাখতে পারেন। এছাড়া পছন্দের কোনো ফলের সঙ্গে টকদই মিশিয়েও খেতে দারুণ লাগবে।
/মহিদ