বিশ্বব্যাপী খেলাধুলার পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির শুভেচ্ছা দূত ছিলেন নেইমার। মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু ২০২০ সালের আগস্টে হঠাৎ করে নাইকি ও নেইমারের মধ্যকার সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার (২৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় মূলত যৌন নিগ্রহের কারণেই নেইমারের সঙ্গে নাইকির চুক্তি বাতিল হয়েছিল।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে নেইমার নাইকির এক আয়োজনে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানে হোটেল কক্ষে নাইকির এক কর্মীকে যৌন হেনস্থা করেন প্যারিস সেন্ত জার্মেইর তারকা। ২০১৮ সালে ওই কর্মী বিষয়টি প্রকাশ করেন। এরপর তদন্তে নামে নাইকি। একটি আইনি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত করে। কিন্তু নাইকির তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না নেইমার। তাতে নাইকি ও নেইমারের ১৫ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।
নাইকির জেনারেল কাউন্সেল হিলারি ক্রেন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে সাহায্য করতে নেইমার অস্বীকৃতি জানানোয় নাইকি তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।’ পরে অবশ্য নেইমার আরেক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পুমার সঙ্গে চুক্তি করেন।
অবশ্য নেইমারের এক মুখপাত্র নাইকির মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থা করার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি এই ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে কোনো দাবি পেশ করা হলে নেইমার তা মোকাবিলা করবেন বলেও তিনি জানিয়েনে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে নাইকির সঙ্গে পিএসজি তারকার চুক্তি বাতিলের কারণ যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল না, এখন পর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছুই ঘটেনি। বাণিজ্যিক কারণেই নাইকি নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল।
/মহিদ