আমার নিউজ ডেস্ক,
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজুও বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা কক্সবাজারের চেয়ে ভালো। এখানে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বুধবার (২ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় রাউফ মাজুও এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে এখন মিলিটারি সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাই এই সরকারের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। আমি ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধিদের বলেছি যে, মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেসব বিষয় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে দেখানো হোক। যাতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং বিশ্বাস জন্মায়।
ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধিরা গত সোমবার (৩১ মে) রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত আশ্রয় শিবির ভাসানচর পরিদর্শন করেন। ওই সময় একাধিক রোহিঙ্গা অপ্রত্যাশিত আচরণ করেন। এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা হতাশা থেকে এমন আচরণ করেছে।
ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি গিলিয়ান ট্রিগস বলেন, ‘বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বড় শরণার্থী শিবিরগুলোর মধ্যে একটি। এখনকার পরিবেশ খুব ভালো।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পুরোটাই নির্ভর করছে মিয়ানমার সরকারের আন্তরিকতার ওপর। তবে এখন মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই জটিল।
ভাসানচর ইস্যুতে গিলিয়ান ট্রিগস বলেন, ‘আশ্রয় শিবিরটি আমরা ঘুরে দেখেছি এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। ভাসানচর ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাব।
ইউএনএইচসিআর এর সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজুও আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিপীড়িত এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মিয়ানমারের।