এস এম আকরাম হোসেনঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন , দেশে টিকা কর্মসূচি এখনো পুরোপুরি ভাবে চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি খুব শিঘ্রই টিকা পেয়ে যাবো। চায়নার ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাবো এবং ভারতের সাথে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাবো। কিন্তু এখানো তা পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রী বলেন, টিকা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষ সুরক্ষা হয় না, তারও এক মাস সময় লাগে। ভারতের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশেও এসেছে, এর সংক্রামণের ক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নিজেদের রক্ষা করতে হবে, পরিবারকে রক্ষা করতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া নিজ বাসভবনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন , ধানকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ, সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, তিল্লি ইউপি চেয়ারমান মোরসালিন বাবু প্রমুখ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, উত্তর বঙ্গের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাইনা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলাগুলোয় এই সমস্যা দেখা দেখ। দেশে যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারাদেশের হাসপাতালে ১৫শ’র মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজারের মত রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় ৪ হাজারের কাছে নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান এই হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, যে সমস্ত দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে নাই বা ছিল না সেই সমস্ত দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখনো ভাল আছে। এখনো লোকজন কাজ করছে। কিন্তু করোনা যদি বৃদ্ধি পেয়ে যায়, তাহলে যে লকডাউন হচ্ছে, আরো লকডাউন দিতে হয়, যানবাহনে যদি লকডাউন দিতে হয়, তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ কারণেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। এর বাইরে কোন সুযোগ নেই।