স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরহানা কবিরের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আজ ৫ জুলাই (সোমবার) সকালে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৌখিক অভিযোগটি সিভিল সার্জন হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে গেছে। অভিযুক্ত এসআই শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা কবির বলেন, ‘আজ সকালে আমি আমার সরকারী গাড়ি নিয়ে করোনা ডিউটিতে বের হই। ফোর্ডনগর কমিউনিটি ক্লিনিকে যাওয়ার পথে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা আমার গাড়িটি আটকে দেয়। আমি আমার পরিচয় এবং দায়িত্ব সম্পর্কে তাদের অবহিত করি। কিন্তু তারা গাড়িটি ছেড়ে না দিয়ে আটকে রাখে। তারা পাল্ট বলে স্যার অনুমতি দিলে আপনার গাড়ী ছেড়ে দিবো। তখন আমি তাদের নিকট তাদের স্যারের নাম-পদবী জানতে চাই। তারা বলেন, স্যারের নাম এসআই শহীদুল আলম। পরে আমার সঙ্গে থাকা স্বাস্থ্য পরিদর্শক গিয়ে এসআইকে বলার পরেও আমাদের যেতে দিচ্ছিলনা। প্রায় ৩০ মিনিটি আমাদের গাড়ী আটকে রাখে। এসময় আশেপাশের অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আমি খুবই অপমানিত বোধ করছিলাম। পরে বাধ্য হয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জনোনোর পর আমার গাড়িটি ছেড়ে দেয় তারা। সরকারি চিকিৎসক হয়ে সরকারি কাজে যাওয়ার পথে চেকপোস্টে পুলিশের এমন হয়রানিমূল আচরণ কাম্য নয়। আমি বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যারকেও জানিয়েছি।’
সিঙ্গাইর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা কবির আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে গাড়ী ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেই। আধাঘন্টা আটকা থাকার পর ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচার্জ।
সিংগাইর থানা সাব ইন্সপেক্টর(এসআই) শহীদুল আলাম বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় বাঁশ ফেলে তল্লাশি করা হচ্ছিল। এসময় ওই চিকিৎসকের সাথে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছিলো।’
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শফিকুল ইসলাম মোল্লা এসআই শহিদুল আলমকে প্রত্যাহারের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমি আখন্দ বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, করোনার সংক্রমনরোধে সকলেই একযোগে কাজ করছি। চিকিৎসকের সাথে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাথে একটু ভুলবুঝাবুঝি হয়েছিল। এটার সমাধান হয়েছে।