1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

ডেনিশ রূপকথা থামিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ৩৬৪ বার দেখা হয়েছে

আমার নিউজ ডেস্ক,

মাত্র ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল, ইংল্যান্ড ও ডেনমার্কের দ্বিতীয় ইউরো সেমিফাইনাল অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে স্কোর ১-১। অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের গোলে ডেনিশ রূপকথা থামিয়ে প্রথমবার ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড। ২-১ গোলে জিতে ৫৫ বছর পর বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে থ্রি লায়নরা। আগামী ১১ জুলাই এই ওয়েম্বলিতে ইতালির বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড।

এই ইউরোতে প্রথম দুটি ম্যাচ হারা ডেনমার্ক রূপকথা তৈরি করে ২৯ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছিল। ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের মাঠেই জ্ঞান হারানার পর বেঁচে ফেরায় অনুপ্রাণিত ছিল। কিন্তু পারলো না তারা। এমনকি এই আসরে প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ডের গোলবুহ্য ভাঙার পরও সাফল্যের দেখা পেলো না ডেনিশরা।

শুরু থেকে ডেনমার্কের ওপর চড়াও ছিল ইংল্যান্ড। ১৩ মিনিটে কেনের বাড়ানো বলে বাঁ দিক থেকে রহিম স্টারলিংয়ের ডানপায়ের শট সরাসরি ক্যাস্পার শুমেইখেলের হাতে চলে যায়। দুই মিনিট পর কেনের শক্তিশালী হাফ ভলি গোলবারের ওপর দিয়ে যায়।

১৬ মিনিটে ফিলিপস বলের দখল হারান। তাতে হজবার্গ ইংল্যান্ডের বক্সে সুযোগ তৈরি করে। তার নিচু শট লক্ষ্যে ছিল। জর্ডান পিকফোর্ড সেভ করেন, যদিও তা চলে যায় ডলবার্গের কাছে। তিনি ব্রেইথওয়েটকে শট নেওয়ার সুযোগ করে দেন, কিন্তু ম্যাগুইরে ব্লক করেন। স্ট্রাইগার লার্সেনের কর্নারে বল বিপজ্জনক জায়গা থেকে পাঞ্চ করে ফেরান পিকফোর্ড।

গোটা টুর্নামেন্টে গোলপোস্ট অক্ষত রাখা ইংল্যান্ড ভেঙে পড়ে ৩০ মিনিটে। ড্যামসগার্ডের দারুণ ফ্রি কিক থামাতে পারেননি পিকফোর্ড। ৩৮ মিনিটে স্‌টারলিংকে রুখে দেন শুমেইখেল। পরের মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে ঠেকাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ডেনিশ অধিনায়ক সিমন কায়ের।

বিরতির পর ম্যাগুইরেকে শুমেইখেল এবং ডলবার্গকে প্রতিহত করে পিকফোর্ড স্কোর সমান রাখেন। এই অর্ধে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দল। তাতে ২০০০ সালের পর প্রথমবার ইউরোর দুটি সেমিফাইনালই গেলো অতিরিক্ত সময়ে। মঙ্গলবার স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইতালি।

৯৪ ও ৯৮ মিনিটে কেইন ও গ্রিলিশকে শুমেইখেল ব্যর্থ করেন দুটি সেভে। তবে পারেননি সমতা ধরে রাখতে। ১০২ মিনিটে মাহলে বক্সের মধ্যে স্টারলিংকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। ভিএআরেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। কেইন নেন পেনাল্টি, তার শট শুমেইখেল রুখে দিলেও ফিরতি শটে গোল করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

১১৩ মিনিটে ব্রেইথওয়েট পিকফোর্ডের কঠিন পরীক্ষা নেন। ইংলিশ গোলকিপার তার শক্তিশালী শট গোলবারের পাশ দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান। শেষ দিকে স্টারলিং তৃতীয় গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে ইতিহাস গড়া জয় নিযে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। তাহলে কি এবার ঘরে ফিরছে ট্রফি?

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury