প্রথমে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং তাণ্ডব। জবাবে লিয়াম লিভিংস্টোনের ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। দুই দল রান উৎসব করলো ২২ গজে।
শেষ পর্যন্ত ৪৩৩ রানের ম্যাচ জিতে নিয়ে শেষ হাসি হাসে পাকিস্তান৷ ট্রেন্ট ব্রিজে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ২৩২ রান তোলে। জবাবে লিভিংস্টোন ৪১ বলে সেঞ্চুরি তোলার পরও ইংল্যান্ডকে থামতে হয় ২০১ রানে৷ ৩১ রানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে। এর আগে ২০৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবার ২৩২ রান তুলে চূড়ায় পৌঁছে যায় তারা।
শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন যা পাকিস্তানের যে কোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। দুইজনই এ সময়ে তুলে নেন ফিফটি। বাবরের ব্যাটে ধার ছিল বেশি। ৩৫ বলে ফিফটিতে পৌঁছার পর দ্রুত সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান। রিজওয়ান ফিফটি পান ৩৪ বলে।
১৫তম ওভারে ইংল্যান্ড প্রথম সাফল্য পায়। গ্রেগরি থামান রিজওয়ানকে। ৪১ বলে ৬৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। বাবর আজম সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে ১৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়। বাঁহাতি পেসার ডেভিড উইলির ইয়র্কার বলে ব্যাটে লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ৪৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে যারাই গিয়েছেন তারাই ঝড় তুলেছেন। সাকিব মাকসুদ ৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ করেন। ফখর জামান ৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬, মোহাম্মদ হাফিজ ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪ রান তোলেন। পাকিস্তানের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মঈন খানের ছেলে আজম খান ৩ বলে ১ চারে করেন ৫ রান।
এর আগে ইংল্যান্ডের ২৩০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল। ২০১৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩০ রান করে জিতেছিল তারা। গতকাল ঘরের মাঠে করতে হতো ২৩৩। কিন্তু এবার পারেনি তারা। শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলতে না পারায় পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।
ডেভিড মালান মাত্র ১ রান করেন। জেসন রয়ের ইনিংস থেমে যায় ৩২ রানে। জনি বেয়ারস্টো ১১ রানের বেশি করতে পারেনি। পাঁচে নামা লিভিংস্টোন ক্রিজে এসে হিসেব নিকেশ পাল্টে দেন। মাঠে নেমেই ঝড় তোলা শুরু তার। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বোলারদের এলোমেলো করে দেন।
১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান। ৪১ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো এ ব্যাটসম্যানকে দলীয় ১৮৩ রানে ফেরান শাদাব খান। এরপর আর ম্যাচে ফেরেনি ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি করা লিভিংস্টোন ৬ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৩ রান করেন।
রান উৎসবের ম্যাচে বল হাতে ৩.২ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৩ উইকেট পেয়েছেন শাদাব খানও। তবে রান দিয়েছেন ৫২।