এস এম আকরাম হোসেনঃ
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘাট পারি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই ঘরমুখো মানুষের ভীড় বাড়ছে ঘাট এলাকায়। ঘাটে ফেরি দেখা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পরছেন যাত্রীরা। রোদ-বৃষ্টি উপক্ষো করেই ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের র্দীঘ লাইন। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ফেরি পারাপার হতে হচ্ছে। এতে করে যাত্রী ও চালকদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি পালনে লঞ্চ অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। স্বাস্থবিধির বালাই নেই ফেরি ও লঞ্চঘাটে। যাত্রীরা স্বাস্থবিধি না মেনে ফেরি ও লঞ্চের যাত্রীরা গাদাগাদি করে ছুটে চলছেন। আবার অনেকে ট্রলারে করে জীবনের ঝুকি ঘাট পারি দিচ্ছেন।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী জানান, সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও আসলে তা মানা সম্ভব হয়নি। যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ছে লঞ্চে। তারপরও আমরা সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করছি।
বিআইডব্লিটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে দুপুরের দিকে পাটুরিয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। যাত্রীরা ফেরি দেখা মাত্রই দৌড়ে ফেরিতে উঠছে। সময়ের সাথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপও বেড়েছে কয়েকগুন। যাত্রীদের পার করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীদের যাত্রীদের চাপের কারনে গাড়ীর ঠিকমত ফেরিতে উঠতে পারছেনা।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানাবহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী নিয়ে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এবিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেকে জানাচ্ছি। ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যারা স্বাস্থবিধি না মানবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।