লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দেখতে সোমবার রাতে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভক্ত টেলিভিশন সেটের সামনে বসেছিলেন। মেসি খেলবেন, নেইমবার খেলবেন। তার ওপর মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ।
উত্তেজনার পারদ চরমে তুলে ম্যাচটিও যথারীতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মাথায় ম্যাচ মোড় নিলো ভিন্ন মঞ্চে। কোয়ারেন্টাইন কাণ্ডে আর্জেন্টিনার তিন খেলোয়াড়কে খেলা চলাকালিন মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এটা নিয়ে শুরু হয় হুলস্তুল কাণ্ড। সাইডলাইনে রীতিমতো হাতাহাতি চলে বেশ কিছুক্ষণ।
কোয়ারেন্টাইন পুরোপুরি না মানায় ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারকে কিছুইতেই এই ম্যাচে খেলতে দিবেন না ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এটা নিয়ে চলে বাকবিতণ্ডা। ওই চার ফুটবলারকে ছাড়া আর্জেন্টিনাও খেলতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত তারা মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। ৪৫ মিনিট দেনদরবার চলার পর এই ম্যাচটি বাতিল হয়। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুম ছেড়ে টিম বাস ধরে স্টেডিয়াম চত্বর ত্যাগ করেন।
শুরু হয়েও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় ব্যথিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী। যথারীতি ব্যথিত হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও।
ফিফা এ বিষয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে। সেখানে তারাও এমন কাণ্ডে ব্যথিত হয়েছে এবং ফুটবলপ্রেমীরা একটি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই ম্যাচে যা ঘটেছে সেটা ফিফার প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটিতে তোলা হবে এবং চুলচেড়া বিশ্লেষণ শেষে শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফিফার এক বার্তায় জানানো হয়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচে যা ঘটেছে সে ব্যাপারে ফিফা যারপরনাই ব্যথিত। পাশাপাশি এই কাণ্ডে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবল ভক্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ফিফা দুঃখিত। এই ম্যাচের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট ফিফার কাছে এসে পৌঁছেছে। এই তথ্যগুলো ফিফার প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি খতিয়ে দেখবে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।