ঢাকা: ‘সব তাজা ইলিশ, ব্যাগ ভইরা লইয়া যান। কোলস্টোরজের পুরানডির (পুরাতন) দিন শেষ। বাজারে তাজা ইলিশ আইছে। এক্কেবারে ফেরেশ (ফ্রেশ)।’ এভাবেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছিলেন কারওয়ানবাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা শুক্কর আলী। শুধু শুক্কুর আলী নয়, এভাবেই হাঁকে ক্রেতা ধরার চেষ্টা করেন মাছ বিক্রেতারা। ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। যার প্রভাবে অন্য সময়ের চেয়ে প্রচুর ইলিশ উঠেছে বাজারে। বুধবার কারওয়ান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শুক্কুর আলী বলেন, সব চাঁদপুরের ইলিশ। এক তারিখে ধরা পড়ছে। আর আইজে বাজারে আইসা গেছে। বাজারে নতুন ইলিশের সমারোহ। একটি ৭৫০ গ্রাম ইলিশ ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪০০ টাকায়ও মিলছে। বিক্রেতারা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বুধবারই প্রথমবারের মতো নতুন ইলিশ বাজারে এসেছে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাজা ইলিশ কিনতে ভিড় জমিয়েছেন কারওয়ানবাজারে। গুলশান-২ নম্বর থেকে ইলিশ কিনতে কারওয়ানবাজারে এসেছেন মাসুদ রানা। তিনি বলেন, নতুন আলু যখন বাজারে আসে তখন রান্না খেতে অনেক মজা। হিমাগারের (কোলস্টোরেজ) আলু খাইতে মজা না। ইলিশের ক্ষেত্রেও তাই, আমরা এর আগে হিমাগারের ইলিশ খেয়েছি তাতে স্বাদ গন্ধ নেই। সেই জন্য প্রথম দিনই নতুন ইলিশ কিনতে এসেছি। তার ভাষ্য, অনেক বিক্রেতা হিমাগারের ইলিশকেও নতুন বলে বিক্রি কতে পারেন। তবে যারা ইলিশ কেনেন, তারা দেখলেই বুঝতে পারেন। নতুন ইলিশের দেহ নরম, চোখও দেখতে পরিষ্কার। কানের ভেতর হবে লালচে। বিক্রেতারা বলছেন, ৫ থেকে ৬ মাস হিমাগারে থাকার ফলে ইলিশের দেহ অনেক শক্ত হয়ে যায়।