মো: আকতার হোসেন
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর চকে শনিবার রাতে সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিপটিবয়েলের পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা পোড়া লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আখি আক্তার (১২)। সে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনে মেয়ে। সোমবার আখিঁর মা সেলিনা বেগম আখির পড়নের পুড়া সেলোয়ার ও কামিচের কিছু অংশ এবং মুখ দেখে তাকে সনাক্ত করেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখিঁর খালা রেবেকা জানান,আখিঁর জন্মের আগেই তার বাবা আবুল হোসেন মারা যান। এরপর থেকে মা সেলিনা বেগমের সাথে নানা বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে থাকতেন। সে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। সোলিনা বেগম তার আরও দুই বোনের সাথে সাভারের হেমায়েত পুরে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকেন। কয়েক দিন আগে আখিঁকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন সেলিনা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে দিঘুলিয়ার উদ্যেশ্যে আখিঁকে হেমায়েতপুর স্টান্ড থেকে বাসে তুলে দেয়া হয়। সোনিয়ার এক বোন জামাই শাহাদৎ আঁিখকে বাসে তুলে দেন। কিন্তু এরপর থেকে আখিঁ নিখোঁজ ছিল। দৌলতপুরে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাাতালের মর্গে এসে আখিঁকে সনাক্ত করেন। দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার জানান, পড়নের সেলোয়ার,কামিচের পুড়া কিছু অংশ এবং মুখমন্ডলের আকৃতি দেখে আখিঁকে সনাক্ত করেছেন তার মা। |