আমার নিউজ ডেক্স,
দেশে করোনার টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ মানুষ। অপরদিকে, টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে মোট নিবন্ধন করেছেন ৭ কোটি ৮২ লাখ ১ হাজার ৬৩৮ জন। সেই হিসাবে নিবন্ধন করে এখনও টিকার অপেক্ষায় আছেন আরও ৩১ লাখ ৩১ হাজার ১৮৪ জন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরের টিকা বিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে টিকার জন্য মোট নিবন্ধনকারীর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৪ জন, পাসপোর্টের মাধ্যমে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৫০২ জন এবং জন্ম সনদের মাধ্যমে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫২ জন নিবন্ধন করেছেন।
জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৪৬২ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সোমবার (৩ জানুয়ারি) সারাদেশে ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়া হয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৭ জনকে।
অপরদিকে, সোমবার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৬ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ এবং ৬৪ হাজার ৯২২ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ১০০ স্কুল শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৬ জন।
এদিকে, দেশ জুড়ে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীসহ সারা দেশে ৪৩ হাজার ৪৩৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে ১২ হাজার ৯৩৬ জনসহ ঢাকা বিভাগে ২০ হাজার ৪৮৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ৯১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ১০৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ৬১৬ জন, রংপুর বিভাগে ৫ হাজার ৩০৫ জন, খুলনা বিভাগে ৬ হাজার ৫৯৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৩৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩৭৮ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।