ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হাসেনি মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। যার ফলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির দল থেকে নাম কাটা পড়ে। এবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), যেখানে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। আপাতত জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা মাথায় আনছেন না, দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে শীর্ষ ব্যাটসম্যানের আসনটি ধরে রাখতে চান মুশফিক।
বৃহস্পতিবার বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনের আগে খুলনা টাইগার্সের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বললেন, ‘আমি ঘুরে দাঁড়ানো বা জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করছি না। আমার চিন্তায় বিপিএল। আলহামদুলিল্লাহ, বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আমি। আমার কাছে এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ যেন ওই জায়গাটা ধরে রাখতে পারি।
বিপিএলের সাত আসরে মুশফিক ৮৫ ম্যাচে ৮১ ইনিংস খেলে ১৫ হাফ সেঞ্চুরিতে ২২৭৪ রান করেছেন ৩৭.২৭ গড়ে। ২২২১ রান নিয়ে তার পেছনে তামিম ইকবাল খেলবেন এবার মিনিস্টার ঢাকার হয়ে। দুজনের মধ্যে লড়াই যে জমবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুশফিকের জন্য নিজেকে ফিরে পাওয়ার টুর্নামেন্টও এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ১৫ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটিং স্তম্ভ। হাফ সেঞ্চুরি মাত্র একটি। ত্রিশের ঘর ছুঁতে পেরেছেন মাত্র দুইবার।
জাতীয় দল নিয়ে মুশফিকের ভাষ্য, ‘ভবিষ্যতে কী হবে না হবে তা নিয়ে একদমই ভাবি না। চেষ্টা করি দলের জন্য খেলতে, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। যেহেতু আমাকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে, তার প্রতিফলন যেন মাঠে দিতে পারি এতটুকুই চিন্তা করছি।’
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের এবারের অষ্টম আসর। প্রথম দিন দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে মুশফিকের দল। প্রতিপক্ষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল মিনিস্টার ঢাকা। মুশফিক চান ভালো শুরু করে বিপিএলের শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করতে।
টুর্নামেন্টে দলের লক্ষ্য নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জিং। আর বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সবচেয়ে বড় লিগ। বিশ্বব্যাপী বিপিএলের একটা সুনাম আছে। এখানে গুণগত ক্রিকেট হয়, মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। যেকোনো দলই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরাও চাই ইনশাআল্লাহ। শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কাল শুরু হচ্ছে। শীর্ষ দুইয়ে থেকে যেন লিগ পর্ব শেষ করতে পারি সেই চেষ্টা করব। আশা করি একটা শিরোপা যেন জিততে পারি, আর সেটা যেন এ বছরই হয়।’
এ ছাড়া এবারের বিপিএলকে স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ দেখছেন মুশফিক। প্রতিটি দলে ৮ জন করে দেশি ক্রিকেটার খেলাতে হবে, আর বাকি তিন জন বিদেশি। স্থানীয়রা সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে প্রত্যাশা তার, ‘এটা সবার জন্য বড় সুযোগ, বিশেষ করে স্থানীয়দের জন্য। সামনে বিশ্বকাপসহ অনেক খেলা আছে। কোভিড পরিস্থিতি আগের মতো ভালো নেই। তারপরও যে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, পরিবেশ পাচ্ছি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। স্থানীয়দের জন্য অনেক বড় মঞ্চ। এখান থেকে অনেকেই ভালো পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে।