বিপিএলের অষ্টম আসরের পর্দা নামার অপেক্ষা, সোনালি ট্রফি এবার কার হাতে উঠছে জানা যাবে একদিন পরই। মুখোমুখি জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান। দাপট দেখিয়ে তারা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তবে ইমরুলের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ে একধাপ এগিয়ে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব, ফাইনালে তার মতো ‘অ্যাকটিভ’ থাকতে চান কুমিল্লার অধিনায়ক।
ইমরুলের কুমিল্লায় বেশ কয়েকজন পারফর্মার থাকলেও বরিশালের ফাইনাল পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে অধিনায়ক সাকিবের অবদানই বেশি। টানা ৫ ম্যাচে সেরা হওয়াটা যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স ছাড়াও সাকিব এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন নেতৃত্ব নিয়েও। কুমিল্লার নেতা ইমরুলের অর্জন কম নয়। একবার চ্যাম্পিয়ন করানোর পর এবার নিয়ে এসেছেন ফাইনালে। তাই প্রশ্ন জাগে ২২ গজে অধিনায়ক ইমরুলের কি সাকিবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে?
সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে উত্তর না দিলেও ইমরুল জানিয়েছেন, তিনি মাঠের সাকিবের মতো সক্রিয় থাকার চেষ্টা করবেন। তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেতা হিসেবে তিনিও কিন্তু কম যান না।
ইমরুল বলেন, ‘সাকিব তো বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছে, ওর অভিজ্ঞতা আরো বেশি। ও মাঠের ভেতরে অনেক প্রো-অ্যাকটিভ থাকে, আমিও চেষ্টা করছি, যেহেতু এটা আমার বিপিএলে তৃতীয়বার অধিনায়কত্ব। আমিও চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার, দিন দিন উন্নতি করার। সব দিক থেকে কালকে যে মাঠে ধীরস্থির থাকবে, যারা সাহস নিয়ে খেলতে পারবে তারাই ভালো করবে।’
কুমিল্লার হয়ে ইমরুল এই নিয়ে তৃতীয়বার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার নেতৃত্বে, আর এবার ফাইনালে। কাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামবেন জানিয়ে ইমরুল বলেন, ‘এর আগে কুমিল্লা দুইবার ফাইনাল খেলেছে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আশা করি কালকের ম্যাচটাও আমরা একই প্রক্রিয়ায় খেলব। প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে আমরা হতাশায় ছিলাম, কী করব না করব ভাবছিলাম। কিন্তু গতকালকে (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে) যেভাবে ফিরে এলাম, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উপরে। রান তাড়া বলেন বা প্রথমে ব্যাটিং বলেন সবকিছুতে ইতিবাচক আছি। ইনশাআল্লাহ কালকে ভালো কিছু হবে।’
নিজের নেতৃত্বের দর্শন নিয়ে কুমিল্লার দলনেতা বলেন, ‘মোটিভ বলতে মাঠের ভেতরে যেসব সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেগুলো পরিকল্পনা অনুয়ায়ী নেওয়া। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান বা বোলারের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা নিয়ে পরিলল্পনা করা এবং সেগুলো মাঠে প্রয়োগ করা। এগুলোই মূল পরিকল্পনা থাকে অধিনায়ক হিসেবে।’
চলতি আসরের ফাইনালে আসার আগ পর্যন্ত কুমিল্লা-বরিশাল তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে দুইবার জিতেছে সাকিবের দল আর একবার ইমরুলের দল। ট্রফি জয়ের মহারণে কাল চতুর্থ দেখায় কে হাসবে শেষ হাসি?