বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। সয়াবিন তেলের যেমন বাড়তি দাম তেমনি অনেকেই স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকায় রান্নায় ব্যবহার করতে চান না সয়াবিন তেল। সয়াবিন তেলের বিকল্প হতে পারে বাদামের তেল। বাদাম তেলের রয়েছে বেশ গুণাগুণ। বাদাম তেলের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি। জাহানারা আক্তার সুমি জানান, বাদাম হলো প্রাকৃতিক উদ্ভিদজাত খাদ্য উপাদান। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। যেমন বাদামে যে প্রোটিন রয়েছে তা অন্যান্য খাদ্য উপাদান থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি এবং উন্নত মানের। ১০০ গ্রাম মিক্সড বাদাম থেকে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন আমরা পেতে পারি। বাদামের তেলে যেহেতু বাদাম ব্যবহার করা হয় তাই বাদাম তেলে এসব পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, বাদাম তেলে যে প্রোটিন রয়েছে তা আমাদের শরীরের মাংস পেশীর গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। বাদাম তেলে যে ফ্যাট রয়েছে তা উপকারী ফ্যাট। সাধারণত খাদ্য থেকে আমরা যে ফ্যাট পাই তা দুই ধরনের। স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। লাল মাংস বা অন্যান্য তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে কিন্তু বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন মুফা (মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড) এবং পুফা (পলি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড) বেশি থাকে। যা আমাদের রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের জন্য উপকারী এইচডিএল অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। যা করোনারি হার্ট ডিজিজ, ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল সাহায্য করে থাকে। পুষ্টিবিদ সুমি আরও বলেন, বাদাম তেলে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ লবণ রয়েছে যেমন ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ইত্যাদি। এই ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বক, চুল এবং আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোর সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। বাদাম তেলে রয়েছে খনিজ লবণ। এসব লবণের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, কপার, সিলেনিয়াম। এই উপাদানগুলো আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে বাদাম তেল।