শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশের জন্য কিছু করা এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার চলমান ভাবনা তার শৈশব থেকেই শুরু। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি নবম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিবাদী ছবি এঁকে পোস্টার বানিয়ে বন্ধুদের সাথে দেয়ালে সেঁটেছিলেন। এই ঘটনার দায়ে একমাস কারাবাসেও ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় টেলিভিশনে কর্মরত অবস্থায় নিয়েছেন নানা রকম সাহসী পদক্ষেপ। স্বাধীন দেশে শিল্প-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে তার অবদান উল্লেখ করার মতো। তিনি একাধারে গুণী চিত্রশিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, শিল্প-সংষ্কৃতির অগ্রপথিক ও মহৎ শিক্ষক। নাম তাঁর মুস্তাফা মনোয়ার।
এ মানুষটিকেই এবার তুলে ধরা হয়েছে ক্যামেরার চোখে। তৈরি হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘শিল্প সারথি’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অর্থায়নে এবং প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় এটি নির্মাণ করেছেন আবীর শ্রেষ্ঠ।
নির্মাতা জানান, এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে মুস্তাফা মনোয়ারের হাত ধরেই বাংলাদেশে নতুন আঙ্গিকে পাপেটের বিকাশ ঘটেছে। আছে সত্যজিৎ রায় তার ‘রক্ত করবী’ দেখে মুগ্ধ হয়ে তারেক মাসুদের মাধ্যমে প্রশংসা বার্তা পাঠানোর মতো মজার ঘটনাও।
১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম দিনে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এর প্রদর্শনী হবে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।