আমার নিউজ ডেক্স,
সারা দেশে লাইসেন্স বা অন্যসকল কাগজপত্রসব অনিবন্ধিত সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সারা দেশে ৮৮২টি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার অনুমোদিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও অভিযান চালিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সার্বিক সেবার মান দেখার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর নিজ কার্যালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামীতে মান যাছাইয়ে অনুমোদিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। সেই প্রস্তুতি চলছে। অভিযানে বন্ধ হয়ে যাওয়া অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, অনুমোদনের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারলে তাদের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। গত দুই দিনে অনুমোদন না থাকায় দেশের ৮৮২টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ১৬৭টি। রোববার (২৯ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।বেলাল হোসেন বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮২ অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। অভিযান আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। যাতে করে অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার গড়ে না ওঠে, সে জন্য অভিযান চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। গত ২৫ মে দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৬ মে সারা দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।