চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপের শেষ ম্যাচে অগ্নিপরীক্ষায় নেমেছিল নাপোলি, প্যারিস সেন্ত জার্মেই ও লিভারপুল। ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তিন দলেরই। মঙ্গলবার এই দৌড় থেকে ছিটকে গেল নাপোলি। লিভারপুলের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। আর ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।
৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা পিএসজি। অথচ হার দিয়ে তাদের শুরু হয়েছিল ইউরোপিয়ান মৌসুম। আর ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা গতবারের ফাইনালিস্ট লিভারপুল জিতে নাপোলির সমান ৯ পয়েন্ট পায়। মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দলই সমান থাকায় গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নকআউটে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দল। হেরে টানা দ্বিতীয়বার গ্রুপেই শেষ হলো নাপোলির চ্যাম্পিয়নস লিগ। তৃতীয় দল হিসেবে তারা খেলবে ইউরোপা লিগ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে দারুণ জয় পাওয়ার স্মৃতি নিয়ে নাপোলিকে স্বাগত জানায় লিভারপুল। সবগুলো অ্যাওয়ে ম্যাচে হারা দলটি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে অ্যানফিল্ডে।২৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সাদিও মানের গোল অফসাইডে বাতিল হয়। তার ১১ মিনিট পর মোহাম্মদ সালাহর দুর্দান্ত গোল। জেমস মিলনারের বাড়িয়ে দেওয়া বল পায়ে নিয়ে চতুরতার সঙ্গে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে সব চেষ্টা করে গেছে নাপোলি। কিন্তু আলিসন বেকার দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন তাদের সব চেষ্টা। বরং সালাহ ও মানে শেষ দিকে দুইবার লিভারপুলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করলেও ভাগ্য সহায় হয়নি।
একই গ্রুপে নকআউটের হাতছানি নিয়ে বেলগ্রেডে নেমেছিল পিএসজি। ঘরের মাঠে এই আসরে প্রতিপক্ষকে একটিও গোল করতে দেয়নি রেড স্টার। এই অপ্রতিরোধ্য দুর্গ ভেঙে ৯ মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন এদিনসন কাভানি। বিরতিতে যাওয়ার আগে ২-০ করেন নেইমার। ৪০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দিয়ে গোলটি করান কাইলিয়ান এমবাপে।