স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে মানিকগঞ্জ তিন আসন গঠিত। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই এ আসনে আওয়ামীলগ বিএনপি প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। প্রতিদিই দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দারে দারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। তুলে ধরছেন বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মকান্ড এবং নির্বাচনে জয়ের জন্য ভোটারদের মধ্যে দিচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি। মানিকগঞ্জ তিন আসনে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ও বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুন অর রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রিতা। এছাড়াও গণফোরামের মফিজুল ইসলাম খান কামাল,জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ জহিরুল আলম রুবেল,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো.ইব্রাহিম হোসেন ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির মো.রফিকুল ইসলাম অভি।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে মানিকগঞ্জ তিন আসন থেকে থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে হারুন অর রশিদ খান মুন্নু নির্বাচিত হন,এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন নির্বাচিত হন। তবে এসব প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে ভোট যুদ্ধো হবে বলে ধারণা প্রার্থী ও ভোটারদের। এছাড়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও দলীয়নেতা কর্মীরা প্রতিনিয়তই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে নৌকার পোস্টার ও মাইকিং চলছে সকাল-বিকাল। বর্তমানে মানিকগঞ্জ তিন আসনে আওয়ামীলীগের প্রচার-প্রচারণা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের প্রচারণা তেমন চোখে পড়েনা। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা খান রিতা সোনালী ব্যাংকে ঋণখোলাপীর জন্য হাইকোর্ট তার মনোয়নপত্র বাতিল করেছে। এজন্য বিএনপির পক্ষে কোন প্রচার-প্রচারণা করতে পারছেনা। বাকি অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও গণফোরামের পোস্টার দেখা গেলেও পথসভা বা প্রচার-প্রচারণা দেখা যায়নি।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ভবন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও পৌরসভা ভবন, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটি হাসপাতাল ভবন, নার্সিস ট্রেনিং ইনস্টিটউিট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, চীফ জুডিশিয়াল ভবনসহ প্রায় ৩৩ টি উন্নয়নমূলক কাজ এবং প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছেন গত ৫ বছরে এবং এসব কাজের উন্নয়ন করেছেন বিধায় মানুষ এবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে বিজয় করবেন। তিনি আরও বলেন, গত ৫ বছরে মানিকগঞ্জে যে উন্নয়ন হয়েছে।এর আগে মানিকগঞ্জে এত উন্নয়ন হয়নি। মানিকগঞ্জের উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ আর যেসব কাজ আছে সামনে ক্ষমতায় এসে সেসব কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, প্রতীক পাওয়ার ২দিন পর বিকেলে সেনালী ব্যাংকের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার মনোয়নপত্র বাতিল বলে ঘোসনা করেন। তবে তার পক্ষে থেকেও আপিল শোনানীর জন্য আপিল করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীরা বলেন, সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা অস্বীকার করার কিছু নাই। সরকার যে উন্নয়ন করেছে জনগন তা বুঝতে পারছে। আমরা চাই মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আমরা বিজয় অর্জন করব। নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ থাকলে আমরা জিতবো আশাবাদী। তবে মানিকগঞ্জ ৩ আসনের নির্বাচনি পরিবেশ জমে ওঠেছে। তবে ভোটাররা বলছেন বিগত সময়ে যারা পাশে ছিলেন এবং আগামী দিনে যারা জনগনের পাশে থাকবে এমন প্রার্থীকে তারা ভোট দিবেন। মানিকগঞ্জে বিগত সময়ের চেয়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে শুধু উন্নয়ন হলে কাজ হবে না। তাদের কর্মসংস্থানও দরকার। তাই আগামীতে যে প্রার্থী নির্বাচনে বিজয় অর্জন করবে তার কাছে উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও দাবী ভোটারদের।