অভি হাসান:
হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় শহীদ গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল করিম কামরুলের প্রতিষ্ঠান ব্লুমসের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মাঝে মাংস বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে ব্লুমস বিশেষায়িত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাংস বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের ৬৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে একটি গরু ও চারটি খাসির মাংস তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ব্লুমস কাটিগ্রামের সভাপতি জি আর শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানের অর্থ দিয়ে চারটি খাসি আর একটি গরু দেওয়া হয়।’
মানিকগঞ্জের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন সেলিম বলেন, ‘ব্লুমস আমার, আমাদের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষায়িত শিশুদের জন্য যা করছে তা অনন্য দৃষ্টান্ত।’ প্রতিষ্ঠানের যেকোন প্রয়োজনে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা গ্লাইডিয়া সাবেক সভাপতি লায়ন মোঃ ছানোয়ার হোসেন দেওয়ান বলেন ‘মানুষের কল্যাণে কাজ করাই রবিউলের স্বপ্ন ছিল। তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সেবা ও পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে যতদিন পারি এ প্রতিষ্ঠানের যুক্ত থেকে কাজ করে যাবো।’
এছাড়াও মাংস বিতরণের সময় এলাকার তরুনেরা উপস্থিত ছিলেন।গুলশানে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় শহীদ হওয়ার আগে রবিউল করিম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের জন্য ২০১১ সালে ব্লুমস কাটিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিকনিং লাইট অর্গানাইজেশন অব ম্যানকাইন্ড (ব্লুমস) নামের এই প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ৬৯ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিচ্ছেন।