নিউজ ডেস্ক:
দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছে নিম্নে আয়ের মানুষ। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় চালের আমদানি কমে যাওয়া এবং মিল মালিকরা ধান মজুত করায় দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে হিলি বন্দর ও চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম বেশি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যে মিনিকেট চাল এক সপ্তাহ আগে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো, আজ (বুধবার) সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৫২-৫৪ টাকার শম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকায়। ৪৬ থেকে ৪৮ টাকার আঠাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায়। স্বর্ণা ৫ জাতের চাল ৩৮-৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘৪০ টাকার মোটা চাল আজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতো দাম বাড়লে সংসার চালাবো কি করে? খুবি চিন্তায় পড়ে গেলাম, কামাই তো আর বাড়েনি।’
সোহাগ নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। চালের বাজারেও দাম বাড়ার আগুন লেগেছে।’
হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, ‘অটো মিল মালিকরা ধানের মজুত করছেন। আবার তারা চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে খুচরা বাজারে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ৬-৮ টাকা বেড়েছে। ’
সরকার ঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেলেও তার বিপরীতে গেলো কয়েক সপ্তাহে ভারতীয় ২০০টি ট্রাকে ৮ হাজার টন চাল প্রবেশ করেছে এই বন্দরে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চালের দাম বেশি। ফলে যে পরিমাণে চাল আমদানি হওয়ার কথা সে পরিমাণে আমদানি হচ্ছে না। আমরা আমদানির চেষ্টা করছি। ভারতে যদি দাম কিছুটা কমে কিংবা সরকার চালের শুল্ক কমিয়ে দেন তাহলে পুরো দমে চাল আমদানি করা সম্ভব হবে।’