নাজমুল হোসেন:
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ইছামতি ও ধলেশ্বরী নদীতে পানিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে হুমকিতে রয়েছে মানিকগঞ্জের ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটটি।
গত দুই বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়লেও এ সপ্তাহে ইছামতি নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে। এতে গরুর হাটের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ভাঙনে দিশেহারা ঘিওর উপজেলার ইছামতি ও ধলেশ্বরী নদী পাড়ের সহস্রাধিক মানুষ। গত একমাসে এখানে ১০টি বসতভিটা ও ১৫ হেক্টর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কবরস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির ও শ্মশান ঘাট। এতে বিপাকে ভাঙনকবলিত মানুষ ও হাটের ব্যবসায়ীরা।
আনিসুর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের ফসলি জমি শেষ। এদিকে ঐতিহ্যবাহী গরু হাটের তিন ভাগ বিলীন। হুমকির মুখে রয়েছে কবরস্থান, মন্দিরসহ নানা স্থাপনা।
ঘিওর উপজেলার জমেলা বিবি বলেন, আমার দুটি ঘর নদীতে খেয়েছে। এছাড়াও চারদিনের ভাঙনে নেই টয়লেটটাও। আর একটি ঘর আছে, সেটাও নদীর তীরে।
স্থানীয় কলীম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাটে আমার ব্যবসার দোকান। বাবার ব্যবসা আর টিকিয়ে রাখতে পারলাম না। নদীতে সব নিয়ে গেল।
ঘিওর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, বিকেলে ভাঙন এলাকায় পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্ততি চলছে। আপৎকালীন ভাঙন রক্ষাযর কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ইছামতি ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে নদী পারের পাঁচ গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, কবরস্থান ও শ্মশানঘাটসহ সহস্রাধিক বসতভিটা, ফসলি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।