নিউজ ডেস্ক:
আজ দুর্গাপূজার এই সূচনার দিন। আজ শুভ মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় শুরু হলো দেবীপক্ষ। চণ্ডিপাঠের মধ্যদিয়ে আবাহন জানানো হলো দুর্গতিনাশিনীকে।
শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। দুর্গোৎসবের তিন পর্ব যথা: মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষ সাঙ্গ করে দেবীপক্ষের দিকে যাত্রা হয় শুরু। আগামী ১ অক্টোবর সায়ংকালে অকাল বোধনে খুলে যাবে মা দুর্গার শান্ত-স্নিগ্ধ অতল গভীর আয়ত চোখের পলক। দূর কৈলাশ ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে গজে আসবেন। আগামী ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গা তার পুত্র-কন্যাসহ কৈলাশে ফিরবেন নৌকায় চেপে।
১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি বেজে উঠলো।
দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনায় ভোর থেকেই রাজধানীর মন্দিরে মন্দিরে শুরু হয়েছে পূজা অর্চনা। ভোর ৬ টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। ঢাকেশ্বরী ছাড়াও রাজধানীর স্বামীবাগ ও বনানীসহ বিভিন্ন মণ্ডপে মহা আড়ম্বর আবাহন জানানো হচ্ছে দেবীকে।
দেবীর আবাহনেই শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। আর ৬ দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা। সনাতন ধর্মমতে, এ দিন প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠানো হয়। যে আত্মার সমাবেশই মহালয়া নামে পরিচিত।
পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। একই সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নেরও শুরু আজ থেকে। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বছর ঘুরে আবারও উমা দেবী আসছেন তার বাপের বাড়ি।
পুরাণমতে, অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। তখন দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি।