মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ফরিদা আহম্মেদ কনা আহত হয়েছেন।
মারামারির ঘটনায় আহত ফরিদা আহম্মেদ কনা বলেন, ‘আশা করছি, দলীয় নেতাকর্মীরা সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
হামলার প্রতিকার চেয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবে লিখিত আবেদন করেন কনা। মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধর পট্রি এলাকার বাসিন্দা তিনি। মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে অতীতে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কনার অভিযোগ, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী নাজমা আক্তারকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে মানিকগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠান চলার সময় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন নেতা-কর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় ফরিদা আহম্মেদ কনার নাম ভুল করে শুধু ফরিদা বলে উল্লেখ করেন।
এ নিয়ে মহিলা লীগের কর্মী শিরিন আক্তার মুক্তার সঙ্গে কাথা-কাটাকাটি হয় ফরিদা আহম্মেদ কনার। এর মধ্যে হঠাৎ করে মহিলা লীগের কর্মী নাজমা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে সামনে থাকা পানির বোতল কনার ওপর ছুড়ে মারেন। এতে তার মুখ ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। পরে আশপাশের নেতা-কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফরিদা আহম্মেদ কনা জানান, নাজমা আক্তার কোনোদিন ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন না। হঠাৎ করে দলীয় লোকজনের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছেন।
ঘটনার পর বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বিভাগীয় নেতাকর্মীদের জানানো হয়েছে।
কনা বলেন, ‘আশা করছি, দলীয় নেতাকর্মীরা সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নাজমা আক্তার বলেন, ‘ফরিদা আহম্মেদ কনাই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদা আমার ওপর পানির বোতল ছুড়ে মারলে আত্মরক্ষায় আমিও বোতল ছুড়ে মারি। কিন্তু বোতলের আঘাতে তার কোনো ক্ষতি হয়নি।’
এ সময় বিগত সময়ে জেলা শ্রমিক লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন বলেও দাবি করেন নাজমা।
মারামারির বিষয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘সেটা তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে। এতে অনুষ্ঠানের কোনো সমস্যা হয়নি। তারা মিলেও গেছে। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ের দায় দল নেবে না।’