এস এম আকরাম হোসেন:
আসন্ন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতি মধ্য তোড়জোর দেখা যাচ্ছে প্রার্থীদের মধ্যে। তবে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রচার-প্রচারনায় শীর্ষে রয়েছেন টেবিল ঘড়ি মার্কায় রেশমী আক্তার। তিনি এর আগে তিনি জেলা পরিষদের সাধারন সদস্য পদে নির্বাচন করে বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রেশমী আক্তারের স্বামী মরহুম হাবিবুর রহমান সেন্টু ২০১৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর আগে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস ও বার্ষিকী সম্পাদক ছিলেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর তার আসনে উপ নির্বাচনে রেশমী আক্তার অংশ গ্রহন করে সদস্য পদে নির্বাচিত হন। রেশমী আক্তার বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে। ৪৫ দিনের ছেলে শিশু ও দুই মেয়েকে রেখে মারা যান। বড় মেয়ে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে ও ছোট মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে অর্নাসে পড়ছে।একমাত্র ছেলে শিশু শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। গত ৫ বছর সফলতার সাথে জেলা পরিষদের সাধারন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএ পাস ও জেলা জজ কোর্টে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যাচ্ছেন।
এলাকার সচেতন ও অভিজ্ঞ মহলের ধারনা তিনি বিপুল ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা সদস্য প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হবেন। মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।
এই আসনে রেশমী আক্তার (টেবিল ঘড়ি) সহ ৬ জন নারী সংরক্ষিত আসনে প্রতিদন্বিতা করছেন। বাকী প্রার্থীরা হলেন মমতাজ বেগম (হরিণ মার্কা) সাটুরিয়া, আখি কায়কোবাদ (ফুটবল) সাটুরিয়া, নার্গিস আক্তার (দোয়াত কলম) সাটুরিয়া, রোজিনা আক্তার রিমা (বই), সাটুরিয়া, শাহিন আফরোজ (মাইক) মার্কা নিয়ে প্রতিদন্বিতা করছেন।
মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার সর্ব শ্রেণী মানুষের কাছে তার রয়েছে বেশ পরিচিতি। বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী ও সাহায্য মূলক সংগঠেনর প্রতি রয়েছে সুদৃষ্টি।সর্বোপুরি তিনি সাধারণ মানুষের কল্যানে নিবেদিত প্রাণ।
রেশমী আক্তার জানান, আমি এলাকার ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে সর্বদা জনগণের কল্যানে কাজ করে যাবো। আমি আশাবাদী আমার এলাকার ভোটারগণ আমাকে বিপুল ভোটে সদস্য পদে নির্বাচিত করবে।