1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চিঠি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২০০ বার দেখা হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জাতীয় বাজেট পরিচালনার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সমন্বয় না করলে চলতি অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ৪৭,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যা কৃষি খাতের ভর্তুকির চেয়ে বেশি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দেশের কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে রাসায়নিক সার আমদানিতে ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে সারের ওপর ভর্তুকি হিসেবে ১৬ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুতের জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং জাহাজের ভাড়া বাড়ার কারণে আমদানি করা সারের প্রতি টনের দাম বেড়ে ৪৬,২৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা আগের চেয়েও তিনগুণ বেশি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দাম বাড়ার কারণে দেশের কৃষি খাতে ভর্তুকি দিতে তাদের প্রায় ৪৬ হাজার ২৭০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, দুই মাসের বিদ্যুৎ ভর্তুকি ও ক্যাপাসিটি চার্জ ৭ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। যদিও অর্থ বিভাগ মার্চ মাসে ৩,৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে এবং এপ্রিলের ভর্তুকি কিস্তি বকেয়া রেখেছে। সম্ভবত বিদ্যুতের ভর্তুকি বিল ৪৭ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে যা তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি প্রক্ষেপণের চেয়ে বেশি হবে।

কিন্তু দুই মাস আগে, অর্থ বিভাগ কৃষি সহায়তার জন্য গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাত্র ৪,১৪৬ কোটি টাকা ছাড় করেছিল যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) প্রতি ইউনিট ৫.০৯ টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করে যেখানে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে তাদের প্রায় ৯ টাকা খরচ হয়। বিদুতের দাম কমাতে এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই অর্থ ভর্তুকি দিয়েছে।

বিপিডিবি বাল্ক বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিইআরসি গত ১৮ মে এ বিষয়ে গণশুনানি করে। শুনানিতে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আপত্তি জানান।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির আগে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক আইএমএফ মিশনের পরামর্শ অনুযায়ী সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জাতীয় বাজেট পরিচালনার জন্যও এটি অপরিহার্য।

এদিকে, সারে ভর্তুকি বাজেটে বরাদ্দের তিন গুণের একটু কম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া ভর্তুকির ব্যয় নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ও নৌপরিবহন ব্যয়ের ওপর। ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম স্থিতিশীল ছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দকৃত ভর্তুকির অর্থ দিয়ে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছিলো।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বাজেটে সারের ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের বাজেটে সার ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ ছিলো ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে বছর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকায়। ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী ভর্তুকি দেওয়া হলে বাজেটের শৃঙ্খলা ভেঙে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভর্তুকি কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। ফলে ভর্তুকি বাড়লেও সারের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। তাই আপাতত তেলের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury