স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছে দুই ছাত্রলীগ কর্মী। তাদের একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় বিকাল তিনটার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ২য় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আরোও একজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত কোরাইশী সুমন গ্রুপের মধ্যে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় তাপস গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদ ও হৃদয় কর্মকতারকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপ সংর্ঘষে জড়িযে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী অধ্যক্ষের রুমের সামনে আশ্রয় নিলেও সেখানেও সংর্ঘষ শুরু হয়। আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজু আহম্মেদকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তাপস সাহা জানান,সুমন ছাত্রলীগের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ছাত্রলীগের নামে সুমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই প্রকৃতছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়। তিনি বলেন,কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে।
অপরদিকে সিফাত কোরশী সুমনের অভিযোগ,জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখন পযন্ত তার গ্রুপের অন্তত্ব ১৫ জন কর্মীকে আহত করেছে তাপস গ্রুপ। দেবেন্দ্র কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপস গ্রুপের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী সজিবকে মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.রকিবুজ্জামান জানান,সংর্ঘষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই পক্ষেরই মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।