স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৪ রান দরকার ছিল ফরচুন বরিশালের, লক্ষ্য ১৫৯। মেহেদী হাসানের ইয়র্কারে প্রথম বলে কোনো রান নেননি ইফতেখার আহমেদ। দ্বিতীয় বল ওয়াইড। পরের বলটা সোজা মাঠের বাইরে। মেহেদীর সোজা বল লং অন দিয়ে উড়িয়ে বরিশালের প্রথম জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। হাতে ৪ বল রেখে ৬ উইকেটের জয় বরিশালের শক্তিমত্তার প্রমাণ দেয়।
তবে ম্যাচে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় সাকিবের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। খেলা থামিয়ে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান বরিশালের অধিনায়ক। জানা গেছে, স্ট্রাইক ও নন স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাটসম্যান ও বোলার নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করেই জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠে ঢুকে দুই অনফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান। তাতে ম্যাচ অন্তত ৫ মিনিট বন্ধ ছিল।
আগে ব্যাটিং করে রংপুর ৭ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। বরিশাল সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সহজেই। মিরাজ বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪৩ রান করেন। তার ম্যাচজয়ী ইনিংসে ছিল ৫ বাউন্ডারি। তার সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়ার পথে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান ৪১ বলে ৫২ রান করেন। ৫ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এ ব্যাটসম্যান। জয়ের বাকি কাজ সারেন ইফতেখার ও করিম। ইফতেখার ২৫ ও করিম ২১ রান করেন।
এর আগে রংপুরের ব্যাটিং ছিল একেবারেই সাদামাটা। সাকিবের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। মেহেদী হাসানকে ব্যাটিং অর্ডারে তিনে উঠালেও কার্যকরী নন। ইবাদতের বল উইকেটে টেনে বোল্ড। আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। চতুরঙ্গ ডি সিলভার আর্ম বলে বোল্ড ২ রানে।
চতুর্থ উইকেটে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে প্রতি আক্রমণে যান রনি তালুকদার ও শোয়েব মালিক। দুজনের ৩৫ রানের ছোট জুটিতে রংপুরকে বড় আশা দেখায়। কিন্তু রনির হঠাৎ বিদায়ে আবার চাপে পড়ে ২০১৭ বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি তোলা রনি এবার থামেন ৪০ রানে। ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।
পরের গল্পটা স্রেফ মালিকের। একা দলকে টেনে নিয়ে যান। তুলে নেন এবারের বিপিএলের প্রথম ফিফটি। ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন ৫ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে রবিউলের ১৫ বলে ১৮ রানে রংপুর দেড়শর সামান্য বেশি পুঁজি পায়। যা লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বরিশালের প্রথম জয়ের দিনে প্রথম হার দেখলো রংপুর।