স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর অভিজাত এলাকা বারিধারার ৩৪২টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি সারফেস ড্রেনে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বাড়িধারা ১১ নাম্বার রোডের কয়েকটি বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ দিয়ে এই সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাড়ির মালিকগণ নিজ থেকে এ ধরনের অবৈধ সংযোগ বন্ধ না করলে স্থায়ীভাবে সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির তথ্য মতে, বারিধারা অভিজাত এলাকায় ৫৫০টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া আট শর্তের মধ্যে ৫টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়নি। ২০৩টি বাড়ি আটটি শর্তের মধ্যে কিছু শর্ত পূরণ করেছে। অন্যদিকে একদমই শর্ত পূরণ করেনি ৩৪২টি বাড়ি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সার্ভে রিপোর্ট বলছে, গুলশান, বারিধারা, নিকেতন ও বনানী এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ২৬৫টির সুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য সরাসরি গিয়ে পড়ছে লেক কিংবা ড্রেনে। ফলে লেকের পানি দূষণ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট ও মশার উপদ্রব বেড়েছে।
বারিধারায় সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সুয়ারেজ লাইনে নিজেদের বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেওয়া যাবে না। ওয়াসার পৃথক লাইনে এসব বাড়ির বর্জ্য যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেই। এ ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
প্রায় ছয় মাস আগে থেকে বাড়ির মালিকদের নোটিশ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এই ছয় মাসেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বাড়ির মালিকরা বলছেন, ওয়াসার বিল পরিশোধ করেও তারা সেবা পাচ্ছেন না। আমাদের করা সার্ভে রিপোর্ট ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
মেয়র বলেন, ‘কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে বাড়ির মালিকদের জানানো হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা বিষয়টির গুরুত্ব দেননি। তাই অভিযান চলছে।’
অভিযানে যেসব বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া হয়েছে সেগুলোর লাইনে কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।