স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমরা তো এখনো আন্দোলন শুরুই করিনি। তাতেই সরকারের লোকজন বলছে, তারা নাকি ধাক্কা দিলে পড়বে না। তাদেরকে বলি- কত বড় ধাক্কা লাগবে? তুফানের সাথে কিন্তু সুনামিও আসে। দরকার হলে আমরা সবাই মিলে সেটাও তৈরি করবো। আন্দোলনের সুনামির ধাক্কায় আপনারা ভেসে যাবেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অব্যাহতভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এখন দেশের লোক কষ্টে আছে। সরকার বলছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। দেশে এগুলোর দাম কমানোর কোনো লক্ষণ নেই। তারা বলে ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে, ২৪ হাজার উৎপাদন হচ্ছে; তাহলে এতো লোডশেডিং কেনো? এর কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট। এই সরকারের বিদায় না হলে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকার।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এই সরকারকে জনদুর্ভোগের সরকার আখ্যা দিয়ে বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে দুঃসহ অবস্থায় নিয়ে গেছে। এই অবস্থায় আবারও নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেশবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে এর প্রভাবে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে যা সীমিত আয়ের মানুষকে তিলে তিলে মেরে ফেলার শামিল। বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ২৫ জানুয়ারি বাকশাল দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করা হবে।
সমাবেশ শেষে ১২ দলীয় জোটের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন রাস্তায় শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবারো বিজয়নগরে পানির ট্যাঙ্কির সামনে এসে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।